Bratya Basu: ‘সই না করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান’, ‘মুখ্যমন্ত্রী আচার্য’ বিল নিয়ে রাজ্যপালকে ‘পরামর্শ’ ব্রাত্যর

Bratya Basu: প্রসঙ্গত, সংবিধানের ২০০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল এই বিল অনুমোদন করতে পারেন। আবার সই না-করে ফেরতও পাঠাতে পারেন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছেও পাঠাতে পারেন।

Bratya Basu: ‘সই না করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান’, ‘মুখ্যমন্ত্রী আচার্য’ বিল নিয়ে রাজ্যপালকে 'পরামর্শ' ব্রাত্যর
সার্চ কমিটি তৈরি রাজ্যপালেরImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2023 | 10:43 PM

কলকাতা: রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাথায় বসবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। হবেন আচার্য। সেই তোড়জোড় আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। গত বছর জুনে পাশও হয়েছিল বিল। পাঠানো হয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। যদিও সেই সময় রাজ্যে রাজ্যপালের পদে ছিলেন জগদীপ ধনখড়। তিনি সই করেননি বিলে। ইতিমধ্যেই তাঁর জায়গায় বাংলার নতুন রাজ্যপাল হয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। সই করেননি তিনিও। তা নিয়েই ফের একবার ক্ষোভ উগরে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। 

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ২০০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল এই বিল অনুমোদন করতে পারেন। আবার সই না-করে ফেরতও পাঠাতে পারেন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছেও পাঠাতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী, খুব দ্রুত সেটা করার কথা। কিন্তু, কেন তিনি তা করছেন না তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ব্রাত্য বসু। সাফ বলছেন, তারা রাজ্যপালের থেকে বিলটি ফেরত চাইবেন কিনা সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপরই নেবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। 

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্রাত্য বলেন, “রাজ্যপাল যদি বিলে সই না করেন তাহলে পাঠিয়ে দিন আমাদের কাছে। আমরা আবার বিধানসভায় পাশ করাব। তারপর যদি সই না করেন তাহলে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন।” এখানেই না থেমে ব্রাত্য আরও বলেন, “উনি বারবার আইনের শাসনের কথা বলছেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বলছে কোনও রাজ্যপালই একটা বিল সই না করে অনন্তকাল ফেলে রাখতে পারেন না। বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৬ মাসের সময়। এ বিল দেওয়া হয়েছে প্রায় ১ বছর হতে চলল। না সই করলে ফেরত পাঠান।” অন্যদিকে উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও বিগত কয়েক মাসে চরমে উঠেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এদিন এ প্রসঙ্গে উঠতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন তিনি। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বললেন,  “প্রাক্তন আর্মি অফিসার থেকে পুলিশ, মিলিটারি, জ্যোতিষী সবাই তো ঢুকে পড়ছেন উপাচার্য হিসাবে। এ প্রবণতা আমাদের রাজ্যে ছিল না। আমরা দেখছি সেটা। তবে এই প্রবণতাটা ঠিক নয়। আমি এখনও মনে করি আমরা আলোচনয়া বিশ্বাসী। রাজ্যপালের একতরফা মনোলগ রাজ্যপাসী শুনবে না। এটা উনি বুঝতে পারছেন না।”