মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক না হলে কী হবে জয়েন্টের ভবিষ্যৎ, আতান্তরে পরীক্ষার্থীরা

জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE) ক্ষেত্রে বিকল্প কোনও পদ্ধতি নেই, বলছেন শিক্ষাবিদরা।

মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক না হলে কী হবে জয়েন্টের ভবিষ্যৎ, আতান্তরে পরীক্ষার্থীরা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 07, 2021 | 3:50 PM

কলকাতা: করোনা (COVID-19) আবহে অনিশ্চিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় কী ভাবে হবে মূল্যায়ন? চরম আতান্তরে জয়েন্ট এন্ট্রাসের প্রায় ১২ লক্ষ পরীক্ষার্থী।

এত দিন বছরে দু’বার জয়েন্টে বসার সুযোগ মিলত। অতিমারি পরিস্থিতিতে তা বাড়িয়ে চার বার করা হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে মে —৪ মাসে ৪ বার পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক হয়, কেউ চাইলে চারটি পরীক্ষাতেই বসতে পারে। সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে তাঁর RANK নির্ধারিত হবে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই, ফেব্রুয়ারি ও মার্চের পরীক্ষার পরে বাকি দু’টি পরীক্ষা আর হয়নি। এখন অনেকেই ফেব্রুয়ারি, মার্চের পরীক্ষা দেয়নি। তাঁরা এ বার কী করবে? বুঝে উঠতে পারছে না।

আরও পড়ুন: টিকায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্র, ক্রমেই জোরাল হচ্ছে বিতর্ক

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সৌগত বসুর বক্তব্য, “জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ক্ষেত্রে বিকল্প কোনও পদ্ধতি নেই। সাধারণ মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে এই পরীক্ষার একটা ফারাক আছে। সাধারণ মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে একজন পড়ুয়ার সারা বছরের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মার্কশিট দিয়ে থাকি। কিন্তু জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ক্ষেত্রে এটা একটা এলিমিনেটিং পরীক্ষা। অর্থাৎ যে ছাত্রের পারফরম্যান্স খারাপ তাঁকে বাদ দিয়ে আমরা যে ভাল তাঁকে মনোনীত করি পরবর্তী স্তরের পড়াশোনার জন্য। এই জায়গায় পরীক্ষার বাইরে কোনও বিকল্প নেই।” অর্থাৎ এবার সেই পরীক্ষায় বসতে না পারলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ।

প্রসঙ্গত, সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা আগেই বাতিল করেছে শিক্ষামন্ত্রক। এ রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। রাজ্যের ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যেই সমাধান খুঁজতে শিক্ষা দফতরের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে পরীক্ষার রোড ম্যাপ কেমন হতে পারে তা নিয়ে নিজেদের সুপারিশ রেখেছেন তাঁরা। শনিবারই হয়ত সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে পারে।