গৃহবন্দি থাকার আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ ছত্রধর মাহাতো

রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচনের পরেই তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতা ছত্রধর মাহাতোকে (Chhatradhar Mahato) ঝাড়গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা।

গৃহবন্দি থাকার আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ ছত্রধর মাহাতো
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 05, 2021 | 11:16 AM

কলকাতা: গৃহবন্দি (House Arrest) থাকার আবেদন জানালেন ছত্রধর মাহাতো। রাজধানী এক্সপ্রেস ‘হাইজ্যাক’ মামলায় গত ২৮ মার্চ ছত্রধরকে গ্রেফতার করে এনআইএ। আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি। তার আগে নিজের আইনজীবী মারফৎ গৃহবন্দি থাকার আবেদন জানালেন জঙ্গলমহলের এই নেতা।

রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচনের পরেই তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতা ছত্রধর মাহাতোকে ঝাড়গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে ঝাড়গ্রামে যে রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাক হয়েছিল, সেই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন।

শুক্রবার ছত্রধর মাহাতোর আইনজীবী আদালতের দ্বারস্থ হন। ছত্রধরকে হাউজ অ্যারেস্ট করে রাখার আবেদন জানান তিনি। রাজ্যের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি এবং তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকে সামনে রেখেই আইনজীবী মারফৎ এই আবেদন জানানো হয়। সূত্রের খবর, এই আবেদন করার পর আগামী সোমবার মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ সেদিনই এনআইএ-এর বিশেষ আদালতে এই আর্জির শুনানি হবে।

২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর। তখন ছত্রধর জেলে। ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর অভিযোগে ছত্রধরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলারই পুনর্তদন্ত চেয়ে আদালতে গিয়েছিল এনআইএ। আদালত তাদের তা করার নির্দেশ দেয়। ছাড়াও ২০০৯ সালে লালগড়ের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনে ছত্রধর-সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা হয়। ২০১০ সালে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ছত্রধর। সে সময় জামিনও পান।

১১ বছর পর এই বিধানসভা নির্বাচনে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পান ছত্রধর। কিন্তু প্রথম দফার ভোটের পরদিনই কাকভোরে তাঁর আমলিয়া গ্রামের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় এনআইএ। ছত্রধরকে চ্যাংদোলা করে তোলা হয় গাড়িতে। এরপর থেকে এনআইএ হেফাজতেই তিনি।