ভোট-নির্ঘণ্ট কি জানুয়ারিতেই? আগামিকাল সদলবলে আসছেন অরোরা

ডেপুটি কমিশনার সুনীল জৈন তো রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে, এবার কি কমিশনের ফুল বেঞ্চও একই কথা বলবে প্রশাসনকে...

ভোট-নির্ঘণ্ট কি জানুয়ারিতেই? আগামিকাল সদলবলে আসছেন অরোরা
সুনীল অরোরা- ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jan 19, 2021 | 7:37 PM

কলকাতা: নির্বাচনের (West Bengal Election) জন্য রাজ্য প্রশাসন কতটা প্রস্তুত? খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবারই শহরে পা রাখছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ফুল বেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা (Sunil Arora)-সহ কমিশনের বাকি সকল সদস্যরা উপস্থিত হবেন রাজ্যে। খতিয়ে দেখবেন সার্বিক পরিস্থিতি। ফুল বেঞ্চে থাকছেন অতিরিক্ত কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং রাজীব কুমার। তিনদিন রাজ্যে থাকবেন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা। রাজ্য থেকে ফিরে গিয়েই তাঁরা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রথমদিন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠক করবে রাজ্যের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সকল আধিকারিকদের সঙ্গে। দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি রাজ্যের সকল রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশন কর্তারা। এরপর কেন্দ্র ও রাজ্যের নিয়ামক সংস্থাগুলির সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক রয়েছে সকল পুলিস এসপি, কমিশনার, জেলাশাসকদের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈন কয়েকটি জেলার আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে একাধিক তোপ দেগেছিলেন। এবার কমিশনের ফুল বেঞ্চ কী বলে সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

সফরের শেষ দিন অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ বাকি সদস্যরা রাজ্যের শীর্ষ এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে রাজ্যের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিস প্রধান ও অন্যান্য আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: করোনা জয় করে অর্থনীতিতে জোয়ার চিনে, ভারত সেই তলানিতেই

উল্লেখ্য, গত একমাসের ব্যবধানে পরপর দু’বার রাজ্যে এসেছিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। প্রথম দফায় তিনি এসে বেশ কিছু হোমওয়ার্ক দিয়ে গিয়েছিলেন প্রশাসনকে। দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে এসে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে যা যা ফাঁকফোকর রয়েছে সেটা কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার আগেই মেরামত করার উপদেশ দিয়েছিলেন। সেই হিসেবে রাজ্য কতটা পদক্ষেপ করতে পেরেছে সেটা আগামী ক’দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: টিকা নিতে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ, ‘হতাশ’ কেন্দ্র