Fake Call Letter: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে ধরা পড়েছে ভুয়ো চাকরি প্রার্থী, আসল ‘কাকু’ এখনও অধরা
Fake Call Letter: চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মোটা টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয় দুপক্ষের। চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল, ধাপে ধাপে টাকা দেওয়ার কথা ঠিক হয়েছিল। ইন্টারভিউয়ের প্রথমে দিতে হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা।
কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে ধরা পড়া ভুয়ো চাকরি প্রার্থী আপাতত শ্রীঘরে। তবে এই ঘটনায় এখনও মূল অভিযুক্ত অধরা। মূল অভিযুক্তের নাম পুলিশ তদন্তের স্বার্থে বলতে চাইছে না। এই ঘটনায় চাকরিপ্রার্থী প্রীতম ঘোষের সঙ্গে পেশায় স্কুল শিক্ষক বিষ্ণু মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, সরকারি নথিপত্র জাল-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত বিষ্ণু মাহাতো মোবাইল ফোন থেকে মিলেছে একাধিক চাকুরি প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড। প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা গিয়েছে, চাকরিপ্রার্থী প্রীতম ঘোষের বাবা দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল নেতা ইসমাইলের পরিচিত। তৃণমূল নেতাই মূল অভিযুক্তের সঙ্গে প্রীতম ঘোষের বাবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মোটা টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয় দুপক্ষের। চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল, ধাপে ধাপে টাকা দেওয়ার কথা ঠিক হয়েছিল। ইন্টারভিউয়ের প্রথমে দিতে হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা।
প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ে ভুয়ো কল সেন্টার নিয়ে এসে ধরা পড়া গেলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রীতম ঘোষ। শনিবার সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মূল দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনে দক্ষিণ দিনাজপুরের চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ হয়। যুবকের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সন্দেহ হয় পরীক্ষকদের। তারপর দেখা যায়, যুবক তাঁর সঙ্গে যে কল লেটার এনেছিল, তাতে স্বাক্ষর নেই। তারপরই প্রীতমকে আটক করা হয়। পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় বিষ্ণু মাহাতোকেও প্রথমে আটক করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে মোতায়েন থাকা বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
দেখা যায়, প্রীতম যে কল লেটার সঙ্গে করে এনেছিল, তাতে কোনও স্বাক্ষর ছিল না। এমনকি ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের নামের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তাতেও ওই যুবকের নাম ছিল না। পুলিশ ইতিমধ্যেই প্রীতমের ফোন থেকে এক অভিযুক্তের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।