Duare Sarkar: শুধু কলকাতায় ৩০০-র বেশি শিক্ষক ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে! কেন, জবাব দিলেন ফিরহাদ
Firhad Hakim: ১ এপ্রিল থেকে দু'দফায় হবে শিবির। প্রথম দফায় নেওয়া হবে আবেদনপত্র, দ্বিতীয় দফায় চলবে শংসাপত্র দেওয়া এবং সংশোধনের কাজ।
কলকাতা: দুয়ারে বাংলার পঞ্চায়েত ভোট। নতুন করে ‘দুয়ারে সরকার’ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ও জল্পনা। এপ্রিল মাসে ২০ দিনের ওই কর্মসূচিতে খরচের সম্ভাবনা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। সব থেকে উল্লেখযোগ্য, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির জন্য কলকাতা পুরসভার ৭৪২ জনকে তুলে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৩০০ জনের ওপরে রয়েছে শুধু শিক্ষক। পরিষেবা মিলবে কীভাবে? উত্তর দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “পরীক্ষা ছাড়া আমরা চেষ্টা করছি ছুটির দিনে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলিকে করার। দু’চারটি এদিক ওদিক হতে পারে। সেকারণে সেই সময় কাজের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “দুয়ারে সরকার মানুষের প্রয়োজনে। দুয়ারে সরকার কোনও আনন্দের জন্য নয়। বিনোদন করতে নয়। মানুষের জন্য।”
ভোটের মুখে কেন রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচি? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, বর্তমানে দুর্নীতিতে বিদ্ধ শাসকদল আসলে ভোটের মুখে জনগণের মন বুঝে নিতে চাইছে। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় ‘টক টু মেয়র’এর পর সাংবাদিকরা এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন ফিরহাদকে। তিনি বলেন, “কলকাতা পুরসভা যেমন মানুষের পরিষেবার জন্য, রাজ্য সরকার যেমন মানুষের পরিষেবা দেওয়ার জন্য, দুয়ারে সরকার কর্মসূচি মানুষের জন্যই হতে চলেছে। আমার পুরসভার যেমন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগ। বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা সহ একাধিক বিষয় সেই বিভাগ দেখে। তেমনি দুয়ারে সরকার কর্মসূচি থেকে বহু মানুষ উপকৃত হন।”
পুরমন্ত্রী তথা মেয়র জানান, অনেক মানুষ রয়েছেন এখনও একাধিক পরিষেবা সংক্রান্ত সুবিধা নিতে পারেননি। বহু বয়স্ক মানুষ রয়েছেন যারা পঞ্চায়েত বা বরো অফিস গুলিতে যেতে পারেন না। তাই বাড়ির সামনে দুয়ারে সরকার হলে যাতে মানুষ সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, এই প্রয়াসটাই করছে রাজ্য সরকার।