Bratya Basu: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই সুজনের স্ত্রীর চাকরি নিয়ে তদন্ত হবে: ব্রাত্য
Bratya Basu: শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, নথি অনুযায়ী ২০২১ সালে অবসর নিয়েছেন সুজনের স্ত্রী। অর্থাৎ ১০-১১ বছর মমতা সরকারের বেতন নিয়েছেন তিনি, বর্তমানে পেনশনও পাচ্ছেন।
কলকাতা: শাসক দলের প্রশ্নের মুখে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি। নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন নাকি কারও সুপারিশে চাকরি হয়েছিল? তা খতিয়ে দেখবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বৃহস্পতিবারই একথাই বলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, সেই চাকরি নিয়ে তদন্ত হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশ পেলেই। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেছেন, যেহেতু মমতা সরকারের আমলে চাকরি করেছেন সুজনের স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী, তাই তাঁর চাকরি নিয়ে তদন্ত করতে হলে মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এদিন ব্রাত্য বলেন, সুজন বাবুর স্ত্রী কোথায় কাজ করতেন, তা আমি আগে জানতাম না। আমরা তো সুজনবাবুদের মতো নই। ওঁরা অনেক খবর রাখেন, এটা ওঁদের স্বভাব। আমাদের নয়। সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, সুজনের স্ত্রীর কলেজের চাকরিতে কোনও পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ হয়েছিল কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ব্রাত্য বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে কি না, মমতার সঙ্গে কথা বলে স্থির হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, নথি অনুযায়ী ২০২১ সালে অবসর নিয়েছেন সুজনের স্ত্রী। অর্থাৎ ১০-১১ বছর মমতা সরকারের বেতন নিয়েছেন তিনি, বর্তমানে পেনশনও পাচ্ছেন। তার মানে তিনি একজন রাজ্য সরকারি কর্মী। শিক্ষামন্ত্রীর মতে, হঠাৎ একজন সরকারি কর্মীর বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি করতে পারেন। তাই কথা বলে তবেই তদন্ত হবে।
ব্রাত্য বসুর দাবি, ১৯৮৭ সালে যখন মিলি চক্রবর্তী চাকরি পেয়েছিলেন, তখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছিল। সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী অর্থাৎ মিলি চক্রবর্তীর বাবা শান্তিময় ভট্টাচার্যও ছিলেন জেলার দাপুটে সিপিএম নেতা। ব্রাত্যর দাবি, মিলি দেবীর চাকরি নিয়ে সেই সময় সংবাদপত্রে লেখালেখিও হয়েছিল। সেই কাগজের কাটিং সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য।
সাম্প্রতিককালে তৃণমূল নেতারা দাবি করছেন, বাম আমলে নেতাদের আত্মীয়দের নিয়োগেও হয়েছিল বেনিয়ম। এ বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন ব্রাত্য। কাকতালীয়ভাবে বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে সেই বামেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ও।