হাজরায় ফিরহাদকে ঘিরে বিক্ষোভ হকারদের, স্টল বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ শাসকের বিরুদ্ধে

Firhad Hakim: ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মারাত্মক অস্বস্তির সম্মুখীন হন ফিরহাদ।

হাজরায় ফিরহাদকে ঘিরে বিক্ষোভ হকারদের, স্টল বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ শাসকের বিরুদ্ধে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2021 | 10:42 PM

কলকাতা: হকারদের পুনর্বাসনের জন্য তৈরি করা নতুন স্টল পরিদর্শন করতে এসে বিরাট বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যান্য অন্যান্য পুরকর্তাদের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হকারদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্টল বণ্টনের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। স্থানীয় এক যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মারাত্মক অস্বস্তির সম্মুখীন হন ফিরহাদ। যদিও যাওয়ার সময় তিনি দাবি করেন, যা সমস্যা রয়েছে নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হবে।

ঘটনা হচ্ছে, কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির জন্য প্রায় ১৮৭ জন ব্যবসায়ীকে মন্দির রোড থেকে হাজরা পার্কে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সেই মতো সম্প্রতি স্টল বিলি করা হয়েছে। কিন্তু লটারির মাধ্যমে যে স্টলগুলি বিলি হয়েছে, তাতে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। এলাকার এক তৃণমূলের যুব নেতা ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলা হয়। এমনকী, মার্কেট কমিটিও ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখেই এই বণ্টন করেছে বলে অভিযোগ হকারদের। ফিরহাদ হাকিম পরিদর্শনে উপস্থিত হলে এই সমস্যার কথা তুলে ধরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ।

সেই সময় ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেবাশীষ কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য পুর আধিকারিকরা হাজির ছিলেন। তাঁদের সামনেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চিৎকার করতে থাকেন বিক্ষুদ্ধরা। অভিযোগ, সেই সময় জনাকয়েক তৃণমূল নেতা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য রীতিমতো হুমকি দিতে থাকেন ধাক্কাও মারে। যেই ঘটনার জেরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। ব্যবসায়ীদের আরও দাবি, হাজরা পার্কে স্টল স্থানান্তর করতে গেলে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে তাঁদের। এই অনেকের কাছেই খাবার টাকা নেই। তাহলে কীভাবে স্টলগুলো এখানে নিয়ে আসা হবে!

বিক্ষোভ হলেও সমস্যার কোনও সমাধান সূত্র অবশ্য বেরোয়নি। বেরোনর সময় ফিরহাদ হাকিম বলে যান, “ওঁদের কিছু অভিযোগ রয়েছে লটারি সংক্রান্ত স্টল নিয়ে। এই অভিযোগগুলো থাকবেই। সব অভিযোগ দেখতে গেলে এগোনো যাবে না। এছাড়া ওঁদের কমিটি নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে, সেটা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেবে। এমনিতে কোনও সমস্যা নেই। এই মাসের শেষেই স্টলগুলি স্থানান্তরিত করতে বলা হয়েছে। ওঁরা কিছু ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল, কারণ স্থানান্তর করতে গেলে কিছু টাকার প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” আরও পড়ুন: ‘নাইট কার্ফু’ অমান্য করলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা! কঠোর সিদ্ধান্তের পথে নবান্ন