Bibhas Adhikari : বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে সম্পর্ক ভাল, মমতার থেকেও সাহায্য পেয়েছি: বিভাস

Bibhas Adhikari : এদিকে বীরভূমের নলহাটিতে রয়েছে বিভাসের মালিকানাধীন বি.এড কলেজ। বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন বিভাস।

Bibhas Adhikari : বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে সম্পর্ক ভাল, মমতার থেকেও সাহায্য পেয়েছি: বিভাস
বিভাস অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 11:30 PM

কলকাতা : এদিনই তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়েছে ইডি (ED)। চলেছে তল্লাশি। যদিও শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন নলহাটির বিভাস অধিকারী (Bibhas Adhikari)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় শেষ আসা যে নামটি নিয়ে গোটা রাজ্যে চাপানউতর শুরু হয়েছে তা এই বিভাসরই। এদিনও ফের টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। চক্রান্ত করছেন তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষের মতো ব্যক্তিরা। কিন্তু, তাঁকেই কেন নিশানা? এর পিছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে। প্রশ্ন শুনে বিভাসের স্পষ্ট বক্তব্য, “ওরা ভাবতেই পারে আমার এখানে বিজেপির (BJP) এত বড় বড় নেতা আসে। সেন্ট্রালের ২০-২২ জন নেতা পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে। তাই ওরা ভাবতেই পারে ওকে একটু জড়াতে পারলেই আমি বাঁচতে পারব। যাদের নাম সামনে এসেছে এই কেসে সেই তাপসবাবু, কুন্তলবাবু যাদের নাম মিডিয়া দেখাচ্ছে তাঁরাই এটা ভাবতে পারে।”

এদিকে বীরভূমের নলহাটিতে রয়েছে বিভাসের মালিকানাধীন বি.এড কলেজ। বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন বিভাস। রয়েছে একটি বিশালাকার আশ্রম। ভক্তের সংখ্যাও কয়েক লক্ষ। এমনকী এলাকায় বেশ নাম ডাকও রয়েছে বিভাসের। কেন্দ্র ও হোক বা রাজ্য, দুই সরকারের উপরমহলের সঙ্গে রীতিমতো ভাল যোগাযোগ রয়েছে নলহাটির বিভাসের। এদিন নিজের মুখেই তিনি তা জানালেন। সে কারণেও তাঁকে নিশানা করা হতে পারে বলে তাঁর মত। টিভি-৯ বাংলা এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এদিন তিনি বলেন, “কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল। তবে আমি কোনওদিন ওনাকে কোনও কিছু থেকে আমাকে বাঁচাতে বলিনি। এখনকার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গেও আমার সম্পর্ক ভাল। আমি দিল্লি গেলেই ২০ থেকে ২২ জন এমপি, মন্ত্রী আমার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তার মানে এটা নয় তাঁদের কাছ থেকে আমরা কোমও সুবিধা নেব। এই এডুকেশনে আমরা এডুকেটেড নই।”

তাঁদের আশ্রমের ল্যান্ড রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও সাড়া পান বলে দাবি করেছেন বিভাস। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও কোনও বিষয়ে কিছু আবেদন করলে তাঁর উত্তর উনি দেন মিশনগতভাবে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের আমরা ধার ধারি না। মিশন থেকে ল্যান্ড রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাড়পত্র চেয়েছিলাম। উনি প্রায় ২৪০ বিঘা জায়গার ছাড়পত্র করে দিয়েছেন। যাঁরা জমি দাতা রয়েছেন তাঁদের স্ট্যাম্প ডিউটি লাগছে না।”