C V Anand Bose: ‘আমি রাজনৈতিক দাবার বোড়ে হব না’, উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করলেন রাজ্যপাল

Governor C V Anand Bose: শেষ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার যাওয়ার বিষয়টিও স্থগিত রাখেন তিনি। ঠিক হয়, রাজভবনেই খোলা হবে পিস রুম। কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। ভোট পর্ব চলাকালীন কোথাও কোনও অশান্তি হলে, সরাসরি ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে।

C V Anand Bose: 'আমি রাজনৈতিক দাবার বোড়ে হব না', উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করলেন রাজ্যপাল
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2024 | 3:46 PM

কলকাতা:   উত্তরবঙ্গ কর্মসূচি স্থগিত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টের সময় এয়ারফোর্সের বিশেষ বিমানে তাঁর হাসিমারা যাওয়ার কথা ছিল। ১৯ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভোট। ভোটপর্বে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখতেই তাঁর আলিপুরদুয়ার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই বিষয়টি উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানায় রাজ্যের শাসকদল। এর আগে কোচবিহার যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। তখনও নির্বাচন কমিশনের তরফে অনুমতি মেলেনি। এবারও বিশেষ কারণে আলিপুরদুয়ার সভা বাতিল করলেন রাজ্যপাল। বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল বললেন, “রাজনৈতিক দাবার বোড়ে হিসাবে আমাকে ব্যবহার করতে দেব না।”

প্রথম দফার ভোটের আগে বৃহস্পতিবার কোচবিহার যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । তিনি সেইমতো সূচি পাঠিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনে। বুধবারই নির্বাচন কমিশন রাজ্যপালের কোচবিহার যেতে বারণ করে চিঠি দেয় । এতে ভোটের আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হবে । তাছাড়া রাজ্যপাল গেলে তাঁর নিরাপত্তার আয়োজন করা এই ভোটের মধ্যে সম্ভব নয়।

এরপরই রাজ্যপাল কোচবিহার না গিয়ে এযারফোর্সের বিশেষ বিমানে প্রথমে আলিপুরদুয়ার যাবেন বলে ঠিক হয়। পরে জানা যায় , তিনি হাসিমারা যাবেন এবং সেখানে এয়ারফোর্সের গেস্ট হাউসে থাকবেন । সেইমতো আজ বিকেল ৩ টেয় তাঁর যাওয়ার কথা।

শেষ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার যাওয়ার বিষয়টিও স্থগিত রাখেন তিনি। ঠিক হয়, রাজভবনেই খোলা হবে পিস রুম। কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। ভোট পর্ব চলাকালীন কোথাও কোনও অশান্তি হলে, সরাসরি ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। রাজ্যপাল রাজভবন থেকেই গোটা বিষয়টিতে নজরে রাখবেন বলে জানা গিয়েছে।

রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বাংলার মানুষের পাশে থাকাটাই রাজ্যপালের অগ্রাধিকার। তাঁর ফোকাস রাজ্যে অহিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করা, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়। এলাকা পরিদর্শন করাই মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু রাজ্যপালের কার্যালয়কে রাজনীতিকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। কাউকে রাজ্যপালের পদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে দেওয়া হবে না। রাজ্যপালের বক্তব্য, “রাজনৈতিক দাবার বোড়ে হিসাবে আমাকে কাউকে ব্যবহার করতে দেব না। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের চলাচলে কেউ বাধা দিতে পারে না। তবে, আমি আমার চারপাশে অস্বস্তিকর রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াতে চাই না। আমি ইমেল/টেলিফোন 24×7 এর মাধ্যমে পিস রুমের লোকদের কাছে উপলব্ধ। অস্বাস্থ্যকর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমি আজ উত্তরবঙ্গ সফর প্রত্যাহার করছি।”