Governor Jagdeep Dhankhar: ‘আসেনি সম্পূর্ণ তথ্য’, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে ক্ষোভ রাজ্যপালের, জবাব শাসকদলের
Governor Jagdeep Dhankhar: রাজ্যপাল নয়, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিধানসভায় পাশ হয়েছে বিল। কিন্তু, রাজ্যপালের সই ছাড়া তা আইনতভাবে কার্যকর হবে না। সেই বিলও সই না করে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে।
কলকাতা: বাদল অধিবেশনে পাশ হওয়া ১১টি বিল নিয়েই ফের চরমে উঠছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদল থেকে প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধনী বিল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিল থেকে শুরু মোট ৮ বিল রয়েছে যাতে সরাসরি খর্ব হচ্ছে রাজ্যপালের ক্ষমতা। এদিকে বিল এলেও খোদ রাজ্যপালের সই ছাড়া তা আইনতভাবে কার্যকর করা সম্ভব নয়। তাই সেগুলি ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের(Governor Jagdeep Dhankhar) কাছে। কিন্তু শাসক শিবিরের অভিযোগ, সেগুলি অহেতুক ফেলে রেখেছেন রাজ্যপাল। হাওড়া (Howrah) পুরনিগমের বিলের ক্ষেত্রেও একইকাজ করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। যদিও পাল্টা অভিযোগ করে এদিন একটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে উগরে দিয়েছেন একরাশ ক্ষোভ।
একটি টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, “বিধানসভা সচিবালয়ের পক্ষে ভারতের সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের অধীনে বিবেচনার জন্য যে বিলগুলি পাঠানো হয়েছে তা অসম্পূর্ণ।” এদিকে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সমস্ত তথ্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তাঁর মন্তব্য ভিত্তিহীন। স্পিকারের দাবি আগের রাজ্যপালেরা সাধারণত বিল পেলেই তা পড়ে পাশ করার বিষয়ে তাঁদের মতামত জানাতেন। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে জগদীপ ধনখড় বিল পাশের আগে বিধানসভার সমস্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ চান।
It was inappropriate for the Assembly Secretariat to send incomplete input to the Governor as regards the Bills for his consideration under article 200 of the Constitution of India. Several mandated compliances have to effected to enable consideration of the bill.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 2, 2022
স্পিকারের দাবি, রাজ্যপালের দাবি মেনে সবটাই পাঠানো হয়েছে তাঁকে। এ প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, “ অথচ বাংলায় জবাব পেলে উনি ইংরেজিতে টুইট করেন। উনি বলেন আমি বাংলা জানি না। কী অদ্ভুত! তবে যে ভাষায় বলেছেন তা সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার ট্রান্সলেট ভার্সনে যাবে। আগের কোনও কোনও রাজ্যপালের ক্ষেত্রে এই প্রসঙ্গ আসেনি। তবে উনি আইন অনুসারে চাইতেই পারেন। আজ পর্যন্ত কোনও রাজ্যপাল এমন করেননি।” তবে ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের মত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরকারিভাবে সরানোর তোড়জোড় শুরু করতেই তাতে ‘ক্ষিপ্ত’ হয়েছেন ধনখড়।
No bills pending consideration as returned to Assembly on ground of incompleteness of compliance as apparent from Assembly communication:“The complete official report of the debates of the West Bengal Legislative Assembly on the Bill will be forwarded as soon as it is ready.”
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 2, 2022
রাজ্যপাল নয়, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিধানসভায় পাশ হয়েছে বিল। কিন্তু, রাজ্যপালের সই ছাড়া তা আইনতভাবে কার্যকর হবে না। এদিকে বিধানসভায় পাশ হলেও এখনও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাতে সই করেননি। তাই আইনত ভাবে তিনিই এখনও আচার্য। ইতিমধ্যেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্বিবিদ্যালয়ের নতুন আচার্যের নিয়োগ রাজ্যপালের হাত দিয়ে হওয়াতেই আরও বেড়েছে চাপানাউতর। শাসক শিবিরের অভিযোগ ইচ্ছা করেই বিলে সই না করে তিনি তা ফেলে রেখেছেন। যদিও এপর একটি টুইটে রাজ্যপালের দাবি, তাঁর কাছে বিবেচনার জন্য কোনও বিলই পড়ে নেই। এদিকে রবীন্দ্রভারতীতে সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর জায়গায় নতুন উপাচার্য হয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মহুয়া মুখোপাধ্যায়। রবীন্দ্রভারতী অ্যাক্ট ১৯৮১ অনুযায়ী তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।