Group D Agitation: ধর্মতলায় আন্দোলনকারীদের কাছে ‘দিদির দূত’? কী বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা?
Didir Doot: 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচির আওতায় যাঁদের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যগুলিকেও নিয়ে আসা হয়, সেই আর্জি জানালেন মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
কলকাতা: গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের (Group D Agitation) লাগাতার আন্দোলন চলছে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে। এবার অভিনব কায়দায় আন্দোলনে, প্রতিবাদে সামিল চাকরিপ্রার্থীরা। কিছুদিন আগেই নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের বৈঠক থেকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির কথা। সেখানে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে ‘দিদির দূত’দের। শুক্রবার প্রতীকী ‘দিদির দূত’দের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরলেন গ্রুপ ডি আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির আওতায় যাঁদের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যগুলিকেও নিয়ে আসা হয়, সেই আর্জি জানালেন মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিন মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে প্রতীকী ‘দিদির দূত’ হিসেবে সাজানো হয়। গায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছবি সহ দিদির দূত লেখা পোশাকও পরেন তাঁরা। এরপর গ্রুপ ডি আন্দোলনকারীদের কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান। প্রতীকী সেই দিদির দূতদের কাছে সুরক্ষা কবচের প্রার্থনা করলেন আন্দোলনকারীরা। এমনই এক অভিনব দৃশ্য দেখা গেল ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, “দীর্ঘ চার বছর ধরে আমরা লড়াই করছি। কিছুদিন আগেই দিদির সুরক্ষাকবচ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দিদির দূত নিয়োগ করা হচ্ছে। রাজ্যবাসীর সমস্যার সমাধানের জন্য। অথচ কলকাতার বুকে ধর্মতলায় ১৪১ দিন হল আমরা বসে রয়েছি, আজ পর্যন্ত দিদির দূত এল না। সেই কারণে আমরা প্রতীকী হিসেবে দিদির দূত সাজিয়ে এই কর্মসূচি পালন করছি।”
গ্রুপ ডি আন্দোলনকারীদের আশা, এভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। তাঁরা বলছেন, “আমরা তো আর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে পারছি না। কিছুদিন আগে ঘোষণা করা হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ। সেখানে বলা হয়েছে শিক্ষা থেকে চাকরি, ১৫টি প্রকল্পের কথা। কোনও সমস্যা থাকলে দিদির দূতদের জানানোর কথা বলা হয়েছে। তাই এই প্রতীকী প্রতিবাদ। আমরা চাই দ্রুত আমাদের নিয়োগের ব্যবস্থা হোক।”