Group D Recruitment: আরও চার মাস সময় লাগবে, গ্রুপ ডি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ কমিটির

Group D Recruitment: এই মামলায় ৫৭৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলাতেই এক বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল আদালত।

Group D Recruitment: আরও চার মাস সময় লাগবে, গ্রুপ ডি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ কমিটির
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 12, 2022 | 7:22 PM

কলকাতা : স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ- ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে আরও বেশি সময় লাগবে বলে মামলা করল বিচারপতি বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি। নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই মামলায় ইতিমধ্যেই ৫৭৩ জনকে চিহ্নিত করে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই মামলায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দেয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করল ওই কমিটি। নজিরবিহীনভাবে মামলা করে বিচারপতি বাগের বক্তব্য, আরও চার মাস সময় লাগবে ওই অনুসন্ধানের রিপোর্ট জমা দিতে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি বাগের কমিটি বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে আরও চার মাস যাতে তাদের কাজের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেই সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আপাতত যতটুকু তদন্ত হয়েছে তা জানিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে নিয়োগ সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি। এর আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই নিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়ে গেলেও কমিটি গঠন করে তদন্তের কথা বলে আদালত। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরকে বাগ ছিলেন সেই কমিটির শীর্ষে। বাকি মামলা ফিরে যায় সিঙ্গল বেঞ্চে। আর সেই সিঙ্গল বেঞ্চের তরফেই ৫৭৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই কমিটিকে বলা হয়, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই নিয়োগেই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ। মোট ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু অভিযোগ, তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে। এসএসসি-র বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ ওঠে। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা য়ায়। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ, তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পরে তা খারিজ হয়ে যায়।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ হল এই নিয়োগের ‘অ্যাপয়েন্টিং বডি’, আর কমিশন হল ‘রিক্রটমেন্ট বডি’। আদালতকে পর্ষদ জানায়, কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তারা এই নিয়োগ করে। নিয়োগ নিয়ে দুই সরকারি দফতরের দ্বন্দ একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে এই মামলায়।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা