Mamata-Abhishek Meeting: জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষণার পর একান্ত বৈঠক মমতা-অভিষেকের!
Mamata Banerjee: কালীঘাটে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শেষে অভিষেকের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণার পর মমতা ও অভিষেকের এই একান্ত বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক মহেল জের চর্চা শুরু হয়েছে।
কলকাতা : তৈরি হয়েছে ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি। আর সেই ২০ জনই আপাতত দলের সব কাজ সামলাবেন। চেয়ার পার্সন ছাড়া আরও কোনও শীর্ষ পদ আপাতত থাকছে না। কালীঘাটের বৈঠকের নির্যাস কিছু এমনই। আর সেই সঙ্গে জল্পনা ছড়িয়েছে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকা নিয়ে। যেহেতু চেয়ারপার্সন ছাড়া আর কোনও পদ থাকছে না এই মুহূর্তে, তাহলে অভিষেকও এখন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছাড়া আর কিছু নন। এমনটাই অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ। আর এরই মধ্যে আরও একটি খবর পাওয়া যাচ্ছে। কালীঘাটে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শেষে অভিষেকের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জাতীয় কর্মসমিতির ঘোষণার পর মমতা ও অভিষেকের এই একান্ত বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
চার পুরনিগমের ভোট থাকলেও শনিবার যেন সকাল থেকেই সকালের নজর ছিল কালীঘাটে। দলের টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে হাইভোল্টেজ এই বৈঠক শেষে বেরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জাতীয় কর্মসমিতি তৈরি করা হয়েছে ২০ জন নেতা-নেত্রীকে নিয়ে। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে দলে আর কোনও শীর্ষ পদ থাকছে না। তবে শনিবার দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর মমতা ও অভিষেকের এই একান্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, তৃণমূলে আপাতত কোনও পদ না থাকলেও, জাতীয় কর্মসমিতির ২০ জনের মধ্যে অভিষেককে আলাদাভাবে দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই একান্ত বৈঠক রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও অনেকে মনে করছেন। এর পাশাপাশি আগামী দিনে কোনও পদে আসতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তার একটি ইঙ্গিতও মিলতে পারে শনিবারের এই একান্ত বৈঠক থেকে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে দলীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে ঘনিষ্ঠমহলে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, সেই বিষয়টিতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁর পদত্যাগের ভাবনা-চিন্তার আগেই যাবতীয় পদই অবলুপ্ত করে দেওয়া হল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অভিষেক ঘনিষ্ঠ সূত্রে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনের পরেই নিজের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হওয়ার আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক দফা বৈঠক সেরে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার জাতীয় কর্মসমিতির তালিকা ঘোষণা করার পর ফের এক দফা আলোচনা। অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো আপাতত দলে কোনও শীর্ষ পদ না রাখলেও অভিষেককে একেবারে বৃত্তের বাইরে ফেলে রাখছেন না।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা