Haridevpur Electrocution: কাজ হয়নি কাউকে বলেই, হরিদেবপুরে তাই নিজেরাই বাড়ির মেঝে উঁচু করে নিচ্ছেন এলাকাবাসী

Haridebpur: রবিবার রাতে এলাকারই এক কিশোরের ভয়ঙ্কর পরিণতি এখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না হরিদেবপুরবাসী।

Haridevpur Electrocution: কাজ হয়নি কাউকে বলেই, হরিদেবপুরে তাই নিজেরাই বাড়ির মেঝে উঁচু করে নিচ্ছেন এলাকাবাসী
এভাবে ঘরের মেঝে উঁচু করে নিচ্ছেন অনেকেই।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2022 | 12:25 PM

কলকাতা: প্রতি বছর বর্ষা এলেই জমা জমে। বাড়ির ভিতরও জল থই থই অবস্থা। হরিদেবপুরের সোদপুর লাল মসজিদ এলাকায় এটাই চেনা ছবি। এখানকার হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোডে জমা জলই কেড়ে নিল ১২ বছরের ছোট্ট নীতীশ যাদবকে। বুক ফাটা কান্না মায়ের। প্রত্যেক বছর বর্ষাকালে এখানে হাঁটু সমান জল জমে। বর্ষা হলেই জল ঢুকে যায় ঘরের ভিতর। তাই সেই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য এখানকার বেশ কিছু বাড়ির একতলার ঘরের মেঝের উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে। কেউ ২ ফুট, কেউ আবার ৩ ফুট পর্যন্ত মেঝের উচ্চতা বাড়াচ্ছেন।

এখনও বুক ফাটা কান্না নীতীশের মা আরতি যাদবের গলায়। রবিবার রাতের ঘটনার পর সোমবারও অঝোরে কেঁদে চলেছেন তিনি। দাদাকে ফোন করেছিলেন। ফোনে হাউমাউ করে কান্না আরতির, “আর বলো না। নীতীশ আমার নেই গো। নীতীশ কারেন্টের শট খেয়ে মরে গেছে দাদা।” রবিবার রাতে এলাকারই এক কিশোরের ভয়ঙ্কর পরিণতি এখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না হরিদেবপুরবাসী। জমা জলের দুর্ভোগ তাঁদের বহু পুরনো। কিন্তু তা বলে এই জল যে জীবনঘাতী হতে পারে, তা কখনও ভেবে দেখেননি। ছোট্ট নীতীশ ভাবিয়ে দিয়ে গেল। এখন তাঁরা বুঝতে পারছেন, জমা জলে খোলা তার মানেই ওৎ পেতে থাকে মরণ ফাঁদ।

ফি বছর এই এলাকায় বর্ষা এলেই জল জমে। জল ঢুকে যায় বাড়ির ভিতর। বর্ষার মুখে তাই অনেক বাড়িতেই দেখা যাচ্ছে ঘরের মেঝের উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জনপ্রতিধিদের জানিয়েও কোনও কাজ হয় না। এলাকারই এক বাসিন্দার কথায়, “সবাইকেই তো বলা হয়। পাড়ার যারা দায়িত্বে আছে তাদেরও যেমন জানানো হয়, ভোটের সময় গেটের সামনে কাউন্সিলর যখন দাঁড়িয়ে ছিলেন সকলে মিলে জানানো হয়েছে। বলেছি, জলটা যাতে না জমে কিছু করুন। বলেছেন, দেখবেন। কোথায় কী!” তাঁদের অভিযোগ, পুরনিগম থেকে কোনও ব্যবস্থা নেয় না। বাধ্য হয়েই ঘরের মেঝের উচ্চতা বাড়িয়ে নিচ্ছেন অনেকে। বাড়ির লোককে কে আর হারাতে চায়?

এই ঘটনার পর সোমবারই জরুরি বৈঠকে বসে পুরনিগম। একাধিক সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে, ঠিক যেমনটা হয় এরকম দুর্ঘটনার পর।

১. জল নামে না, এমন এলাকায় বাড়তি পাম্পিং স্টেশন ২. এলাকার বাতিস্তম্ভগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। নিয়মিত পরীক্ষা ৩. বাতিস্তম্ভের নীচে যাতে জল না ঢোকে তার জন্য সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো হবে ৪. বাতিস্তম্ভগুলি ঠিক আছে কি না তা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে অডিট করানো হবে ৫. পরবর্তীতে অডিট করবে বিদ্যুৎ দফতর, ডিরেক্টরেট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি বোর্ড ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দেড় মাসের মধ্যে কলকাতার মেয়রকে রিপোর্ট দেবে এই তিন প্রতিষ্ঠান ৬. বাতিস্তম্ভে পুরনিগমের আলো কে লাগাচ্ছে, তা দেখবে বরোভিত্তিক টিম