Dilip Ghosh on Kunal Ghosh: ‘যে শিয়ালের লেজ কাটা গেছে, সে চাইবে সবার লেজ কাটা হোক’, কুণাল-প্রসঙ্গ উঠতেই তীব্র আক্রমণ দিলীপের
TMC: সোমবার ও মঙ্গলবার ঠাসা কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। মূলত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেই তৃণমূলের ধরনা থেকে রাজভবনে যাওয়ার কর্মসূচি।
কলকাতা: সোমবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবিতে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে ধরনায় বসে তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল এদিনের মঞ্চ থেকে ক্ষুরধার বক্তব্যে একের পর এক তোপ দাগেন শুভেন্দুর দিকে। সারদা, নারদকাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও কুণাল ঘোষের এই প্রশ্ন তোলার অধিকার নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের। মঙ্গলবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতী সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে শিয়ালের লেজ কাটা গেছে, সে চাইবে সবার লেজ কাটা হোক।” একইসঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, এসব শাসকদলের নাটক ছাড়া কিছুই নয়।
সোমবার ও মঙ্গলবার ঠাসা কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। মূলত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেই তৃণমূলের ধরনা থেকে রাজভবনে যাওয়ার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন, “ধরনা কেন দিচ্ছেন ওনারা। সরকারটা তো ওনাদেরই হাতে। আমাদের কত লোককে গ্রেফতার করে রেখে দিয়েছে। একজন নেতাকে গ্রেফতার করে নেবেন, করে নিন। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে মনে হয়, তা হলে সরকার আছে, পুলিশ আছে, সিআইডি আছে। তারা তদন্ত করুক। ভয় পাচ্ছেন নাকি? এরকম নাটক করার কোনও দরকার নেই। ভাবছেন, ওনাদের নেতাদের ডাকছে, এদিক থেকেও কাউকে ডাকা উচিৎ। শুভেন্দুবাবুকে যখন ডেকেছিল, উনি গেছেন, কথা বলেছেন। ওনারা তো যেতেই চান না। পাঁচবার ছ’বার চিঠি এলেও পালিয়ে যাচ্ছেন।”
শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবিতে তৃণমূলের এই আন্দোলন দিলীপ ঘোষের কাছে ‘সমান সমান’ থাকার লড়াই। দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমার মনে হয় ওরা দেখাতে চাইছে তৃণমূল, বিজেপি সমান। কিন্তু ওদের তো সরকার রয়েছে এখানে। মদন মিত্রকে কে গ্রেফতার করেছিল? কুণাল ঘোষকে কে গ্রেফতার করেছিল?” যদিও সোমবারই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “বিজেপির কটাক্ষ করার কোনও অধিকারই নেই। এই বিজেপি ওদের পার্টি অফিসে স্ক্রিন টাঙিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিয়ো দেখিয়ে গ্রেফতারি দাবি করেছিল। যে শুভেন্দুকে বিজেপি চোর, ডাকাত বলেছিল, এখন তাঁর কথাই অমৃত মনে হচ্ছে বিজেপি বরং আগে তার ব্যাখ্যা দিক।”