Haroa: ফের বাংলায় উড়ল সবুজ আবির, তবুও কেন ‘হাসি’ নওশাদের মুখে?
Haroa: হাড়োয়ায় বামফ্রন্ট সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী ছিলেন আইনজীবী পিয়ারুল ইসলাম। তৃণমূল প্রার্থীর পরই ২৫ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে তিনি। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে শতাংশের বিচারের আইএসএফের ভোটের হার কমেছে।
হাড়োয়া: উপনির্বাচনেও সবুজ ঝাড়। ছয়ে ছক্কাই হাকাল তৃণমূল। কিন্তু তার মধ্যেও হাসি ফুটেছে নওশাদ সিদ্দিকির মুখে! কেন? উপনির্বাচনের ফল বলছে, হাড়োয়াতেও বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল। আর দ্বিতীয় স্থানে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট অর্থাৎ আইএসএফ। বিজেপি- কংগ্রেসকে হারিয়েছে নওশাদের দল। আর তাতে ‘সমর্থন’ জুগিয়েছে সিপিএম।
হাড়োয়ায় বামফ্রন্ট সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী ছিলেন আইনজীবী পিয়ারুল ইসলাম। তৃণমূল প্রার্থীর পরই ২৫ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে তিনি। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে শতাংশের বিচারের আইএসএফের ভোটের হার কমেছে। হাড়োয়া কেন্দ্রে আইএসএফের ভোট কমেছে ২.৫ শতাংশ। তবুও এই ‘স্থানাধিকার’ আইএসএফের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
একুশের নির্বাচনে আইএসএফ ছিল বামেদের জোটসঙ্গী। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে আসন নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে বামেরা আর জোট করতে রাজি হয়নি। লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়েছিল আইএসএফ। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বামেরা।
কাটু উপনির্বাচন। যেখানে বামেরা লড়ল একা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রশ্ন উঠতেই, বিমান বসুরা স্পষ্ট করেছিলেন নিজেদের অবস্থান। বামেদের বক্তব্য ছিল, কংগ্রেস শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও আলোচনায় আসেনি। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের মতে, সেটাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে হাড়োয়ার ক্ষেত্রে কীভাবে তা প্রচ্ছন্নেই হয়ে গেল? হাড়োয়ায় আইএসএফ প্রার্থী দেয়, তাতে সমর্থন করে বামেরাও।
হাড়োয়ায় জয় অধরা, তবে দ্বিতীয় স্থানে এসে আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছেন নওশাদ সিদ্দিকি। পর্যবেক্ষকদের মতে, শাসকদলের যুুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে হারাতে পেরেছে আইএসএফ। আগামীর নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে আইএসএফ। জনসংযোগ আরও সুদৃঢ় আর আত্মসমলোচনার মধ্যে দিয়ে নিজেদের ভুলক্রটির সংশোধনকে পাথেয় করেই ছাব্বিশের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে আইএসএফ।