রাশিয়ায় পাশ অথচ পরীক্ষায় বসেননি ডাক্তার! হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ করল কমিশন

Health Commission: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে দুই জেলার দু'টি নার্সিংহোমে রোগী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। একটি নার্সিংহোম বেলঘরিয়ার, অন্যটি অবস্থিত বালিতে।

রাশিয়ায় পাশ অথচ পরীক্ষায় বসেননি ডাক্তার! হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ করল কমিশন
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2021 | 7:14 PM

কলকাতা: কোনও হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন, কোথাও আবার মোটা টাকা নিয়ে করোনা রোগীর চিকিৎসা করেছেন হোমিওপ্যাথ এবং আয়ুষের চিকিৎসক। এমনই সব অভিযোগে বেলঘরিয়া ও বালির দুটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন।

সোমবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে দুই জেলার দু’টি নার্সিংহোমে রোগী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। একটি নার্সিংহোম বেলঘরিয়ার, অন্যটি অবস্থিত বালিতে। বেলঘরিয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোমটির বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। সেখানে হাসপাতালের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ না করিয়েই কোভিড চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ পায় স্বাস্থ্য দফতর। শুধু তাই নয়। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের এক চিকিৎসক রাশিয়া থেকে এমবিবিএস পাশ করে এসেছেন। কিন্তু ভিন দেশ থেকে পাশ করে রাজ্যে প্র্যাকটিস শুরু করার জন্য একটি পরীক্ষা দিতে হয়। অভিযোগ সেই পরীক্ষা তিনি দেননি!

বেলঘরিয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কাকলি দাস নামে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর পরিজনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের চক্ষু চড়কগাছ! সেখানকার এক চিকিৎসক রাশিয়া থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। নিয়মানুযায়ী, রাশিয়া থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি থাকলে এ রাজ্যে মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে একটি পরীক্ষা দিতে হবে। সেই পরীক্ষা না দিয়েই এপ্রিলে কাকলি দেবীর চিকিৎসা করেছিলেন ওই চিকিৎসক।

শুধু কী তাই! বেলঘরিয়ার নার্সিংহোমে আইসিইউয়ে কর্মরত নার্স বেঙ্গালুরু থেকে নার্সিংয়ের দূরশিক্ষার কোর্স করেছেন। সেই প্রশিক্ষণের বিশ্বাসযোগ্যতা কতখানি তাও যাচাই করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।

অন্যদিকে বালির লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ক্ষেত্রে অভিযোগ একটু ভিন্ন। সেখানে ৭৪ বছরের দেবী ঘোষ নামে এক করোনা রোগী মডার্ন মেডিসিনের এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু বৃদ্ধার চিকিৎসা করেন হোমিওপ্যাথ এবং আয়ুষের চিকিৎসক! তাঁর মৃত্যুও হয়। এর পর তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দেখে স্বাস্থ্য কমিশনে নালিশ জানান পরিজনেরা। কারণ, ডেথ সার্টিফিকিটে স‌ই রয়েছে হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের। যার প্রেক্ষিতে ওই জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তদন্ত শেষ না হ‌ওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দুই বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি। আরও পড়ুন: ৭ হাজার মানুষের ফোন নম্বর ১টি! আদালতের ভর্ৎসনায় ব্যাপক ‘দুর্নীতি’ স্বীকার করল রাজ্য