Child vaccination: সোমবার থেকে ছোটদের স্কুলেই টিকা, সিলমোহর স্বাস্থ্য ভবনের
Covid-19: ইতিমধ্যেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১ হাজার পার করে গিয়েছে। যা নিঃসন্দেহে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে।
কলকাতা: জল্পনা ছিল। অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পড়ল সিলমোহর। ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ স্কুলেই হবে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের তরফে এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচি চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য ভবন। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, স্কুল পড়ুয়াদের টিকাকরণ হবে স্কুলেই। বুধবারই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে নির্দেশিকা জারি করা হয়, ৩ জানুয়ারি সোমবার থেকে প্রত্যেক পুরএলাকার অন্তত একটি করে স্কুলে টিকাকরণ হবে। ৪ জানুয়ারি থেকে এই স্কুলের সংখ্যা আরও বাড়বে।
গত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ৩ জানুয়ারি ২০২২ থেকে এই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে।
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, স্কুলে স্কুলে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন তাঁরা। কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বরোর নানা স্কুলে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্কুলকেও সে জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে রাখার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া চিকিৎসক রাখার কথাও বলেছেন তিনি। মেয়রের কথায়, “প্রাইভেট স্কুলে চিকিৎসকের ব্যবস্থা থাকে। সরকারি স্কুলে আমরাই চিকিৎসকের ব্যবস্থা করব।”
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের কথায়, এ রাজ্যে ছোট টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ৪৮ লক্ষ ২৩ হাজার। এই সংখ্যক পড়ুয়া যদি টিকাকেন্দ্রে যায়, তাহলে জমায়েত অনেক বেশি হবে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেওয়ার প্রবণতা খুব স্বাভাবিকভাবেই ১৫ থেকে ১৮ বছরের ছেলে মেয়েদের মধ্যে লক্ষ্য করা যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। কারণ, এই বয়সীদের মধ্যে উৎসাহ অনেক বেশি থাকবে।
সে ক্ষেত্রে কোনও রকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। যা এর আগে প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা দেওয়ার সময় প্রশাসনকে ভুগতে হয়েছে। সে কারণে তারা চাইছে স্কুলের মাধ্যমে এই টিকাকরণ কর্মসূচি করতে। যেহেতু স্কুলে শিক্ষকদের অনুশাসনের মধ্যে তারা থাকে, ফলে বিশৃঙ্খলার প্রশ্নই নেই। শিক্ষকদের কথা ছাত্র ছাত্রীরাও অনেক বেশি শোনে। আর এখন অষ্টম থেকে দ্বাদশের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। ফলে স্কুল পিছু পড়ুয়া সংখ্যার চাপ অনেক কম।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১ হাজার পার করে গিয়েছে। যা নিঃসন্দেহে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে। ধীরে ধীরে নানা ক্ষেত্রে বিধি নিষেধও আরোপ হচ্ছে। এদিনই গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। আমরা অনুরোধ করব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। মাস্ক পরতে ও স্যানিটাইজেশন করতে। রিভিউ করে গোটা পরিস্থিতি টাইম টু টাইম আমরা জানাব।” তিনি এখানেই জানান, এখনই স্কুল, কলেজ বা লোকাল ট্রেন বন্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।
আরও পড়ুন: Flights Cancelled Covid Surge: ফের কলকাতায় বিমান অবতরণে নিষেধাজ্ঞা! ব্রিটেন ফেরত বিমানে না নবান্নের