ভ্যাকসিন সরবরাহ কবে? আগামী সপ্তাহেই সদুত্তরের আশায় শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা
করোনার টিকা প্রদানে রাজ্যে প্রথম দিনের ‘ড্রাই রান' কেমন হল তা এদিন স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পর্যালোচনা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) ‘ড্রাই রান’ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। করোনার টিকা প্রদানে রাজ্যে প্রথম দিনের ‘ড্রাই রান’ কেমন হল তা এদিন স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পর্যালোচনা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay)। এখনও কী কী করণীয় তা এদিনের ‘ড্রাই রান’ থেকে উঠে আসে। সেই সব খামতি দ্রুত পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
কোভিশিল্ডের পরে এদিন কোভ্যাক্সিনেও অনুমোদন মিলেছে বলে খবর। সারা দেশ জুড়ে ‘ড্রাই রানে’র পরে ভ্যাকসিন সরবরাহ হতে আর কত দিন? রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সদুত্তর মেলার বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী।
শনিবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলার তিন জায়গায় করোনা ভ্যাকসিনেশনের ‘ড্রাই রান’ করানো হয়। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম, আমডাঙা ও সল্টলেকের দত্তাবাদে খোলা হয় ‘ড্রাই রানে’র কেন্দ্র। দত্তাবাদের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার। তরুণ সংঘ মাঠ লাগোয়া এই কেন্দ্রেই চলে ‘ড্রাই রান’।
সেখানে ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন ‘মক ভ্যাকসিন’ নেওয়ার জন্য। প্রথমে প্রবেশ পথে চেকিং করা হয়। নথি মিলিয়ে দেখে নেওয়া হয় মক ভ্যাকসিন প্রাপকের তালিকায় নাম রয়েছে কি না। এরপর পরীক্ষা করে নেওয়া হয় শরীরের তাপমাত্রা। প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকেই বাঁ হাতে ওয়েটিং রুম। সেখানে একটি আসন অন্তর প্রত্যেককে বসানো হয়েছে। আরও একবার তালিকা মিলিয়ে নেওয়ার পর চলে মেডিকেল চেকআপ। তারপর ভ্যাকসিনেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: করোনা-টিকাকরণের ড্রাই রান শুরু বাংলায়, জেনে নিন কীভাবে এগোল মহড়া
সেখানে চলে মক ভ্যাকসিন প্রদান পর্ব। ছিলেন ভ্যাকসিনেশন অফিসার। তাঁর যা মহড়া করার কথা তা করেন। এরপর সেই ঘরেই কো-উইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন পর্ব চলে। অবজারভেশন রুমে ৩০ মিনিট রেখে দেখা হয় শারীরিক কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। যদি কোনও সমস্যা হতো, তার জন্য প্রস্থান গেটের পাশে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ছিলেন চিকিৎসার জন্য। পুরো প্রক্রিয়া শেষে ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান ‘ক্লায়েন্ট’।