কেন নারদ মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম? হাইকোর্টে রিজয়েন্ডার দিল রাজ্য

Narada Case in High Court: এই মামলায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।

কেন নারদ মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম? হাইকোর্টে রিজয়েন্ডার দিল রাজ্য
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2021 | 12:58 PM

কলকাতা: নারদ মামলায় কেন নাম রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও আরও দুই তৃণমূল নেতার, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য। হাইকোর্টের তরফে হলফনামা দিয়ে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে বলা হয়েছিল। আজ সেই মতো রাজ্যের তরফে রিজয়েন্ডার দেওয়া হয়েছে। কেন এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, তুষার মেহতা ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় ১০ দিন সময় চাওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। আপাতত ২৮ দিন পিছিয়ে গিয়েছে এই মামলার শুনানি।

১৭ মে নারদ মামলায় অভিযুক্ত চার হেভিওয়েট নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। ওই দিন নিম্ন আদালত তাঁদের জামিন দেয়। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় সিবিআই। পরে হাইকোর্টেও ওই চার নেতার অন্তবর্তী জামিন মেলে। তবে, মামলা অন্যত্র সরানোর আবেদনের শুনানি চলছে হাইকোর্টে। সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অভিযুক্তদের হয়ে লড়ছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।

ওই চার নেতা গ্রেফতার হওয়ার দিন সিবিআই দফতরে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটক ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই দফতর তথা নিজাম প্যালেসের সামনে সে দিন তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভের ছবি দেখা যায়। সেই কারণে মামলায় তাঁদের নাম জড়ায়। আগেও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে যে, নিজাম প্যালেসের গেটের বাইরে যে জমায়েত হয়েছিল সেখানে কোনওরকম ভাবেই অংশগ্রহণ করেননি তাঁরা। জমায়েতকে উদ্দেশ্য করে কোনও কথাও বলেননি বলে দাবি করে রাজ্য। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলফনামা দিয়ে জানান, রাজ্য সরকার এবং তাঁর অধীনে থাকা কলকাতা পুলিশ সমস্ত রকম ভাবে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট মামলায়। এ বার আজ দেওয়া হল রিজয়েন্ডার। রাজ্যের তরফে একটি রিজয়েন্ডার দেওয়া হয়েছে ও অপর একটি রিজয়েন্ডার নিজে দিয়েছেন আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে, তুষার মেহতা ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে ১০ দিন সময় চাওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। যদিও সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানিয়েছেন, মামলার বেশি দেরি করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পরপর শুনানি চালাতে হবে। আরও পড়ুন: ‘জাগো বাংলা’য় লেখার মাসুল, ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড হতে পারেন অনিল-কন্যা