Mukul Roy: জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম-শুনানি, আজও হল না মুকুল-মামলার নিষ্পত্তি
Assembly: দলত্যাগ নিয়ে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিরোধী বিধায়করা। তারই শুনানি চলছে বিধানসভায়।
কলকাতা: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ থাকবে কি না তা নিয়ে সোমবার শুনানি ছিল বিধানসভায়। যদিও এদিন কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বরং সম্ভাবনা রয়েছে আগামী শুক্রবার এই শুনানি শেষ হওয়ার। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে।
দলত্যাগ নিয়ে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিরোধী বিধায়করা। তারই শুনানি চলছে বিধানসভায়। সোমবার দু’পক্ষের আইনজীবীই অর্থাৎ মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী ইঙ্গিত দিয়েছেন, শুক্রবার এই শুনানি শেষ হতে পারে।
গত ১১ জুন মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। তৃণমূল ভবনে গিয়ে জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। এর কয়েকদিনের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৬৪ পাতার একটি পিটিশন দাখিল করেন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে।
দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানান তিনি। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যায় বিজেপি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, বিধায়ক মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান রাখা হবে কি হবে না সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিধানসভার স্পিকারকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু তার ঠিক দু’দিন আগে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
এরপরই দেশের সর্বোচ্চ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত তা বিধানসভার অধ্যক্ষকেই নিতে হবে। অধ্যক্ষ দ্রুত যাতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন, সে কথাই বলা হয়। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তার আগে অধ্যক্ষকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়।
এরপরই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের কোনও নির্দেশিকা থাকে তা আমরা নিশ্চয়ই মেনে চলব। এটা তো খুব স্বাভাবিক কথা। আইনের বিচার প্রক্রিয়াকে আমরা সব সময় মর্যাদা দিই। সম্মান করি। নতুন করে বলার কিছু নেই। যে পিটিশনটা ফাইল হয়েছে ওর (মুকুল রায়) সদস্যপদ খারিজ করার জন্য, সেটা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখছি।” এই বিধায়ক পদ সংক্রান্ত মামলারই সোমবার শুনানি ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত কোনও নির্দেশ এদিন দেওয়া হয়নি। শুক্রবার তার সম্ভাবনা রয়েছে।