Primary Recruitment: চাকরি গেল আরও তিন প্রাথমিক শিক্ষকের, চাকরি ফিরে পেলেন কতজন?
Primary Recruitment: সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২৫৬ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে।
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও স্বস্তি পাচ্ছেন না সেই সব প্রাথমিক শিক্ষকেরা, যাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের বক্তব্য ও নথি পেশ করার সুযোগ দেওয়া হলেও বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই চাকরি বাতিল করার নির্দেশই বহাল রাখছে আদালত। প্রাথমিকে আরও তিন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকে মোট ২৫৬ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। সেই নির্দেশ এদিনও বহাল রাখলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত মাত্র দুজনের চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে আদালত। এই দুই প্রাথমিক শিক্ষককে (Primary Teacher) চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আরও একটি মামলা হয়েছে।
প্রথমে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ বহাল রাখা হয় হয়। এরপর গত সপ্তাহে বুধবার ১৪০ জনের ও বৃহস্পতিবার ৬০ জনের চাকরি বাতিল হয় হাইকোর্টের নির্দেশে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২৫৬ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে হওয়া মামলায় প্রাথমিকের ২৬৮ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান ২৬৮ জন। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ওই ২৬৮ জনকে হলফনামা দাখিল করতে হবে এবং হাইকোর্টে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে হবে। সেই মতো বক্তব্য শোনার পর্ব শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে ওই প্রাথমিক শিক্ষকেরা আদালতে যাচ্ছেন ও নিজেদের স্বপক্ষে বক্তব্য পেশ করছেন
মূলত নথিপত্র চাওয়া হয়েছে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে। সেগুলি খতিয়ে দেখেই আদালত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখা হবে কি না। সেই তালিকায় নাম জুড়ল আরও তিনজনের। তাঁদের চাকরি ফেরাল না হাইকোর্ট। শুধুমাত্র প্রাথমিক নয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ক্ষেত্রেও এমন একাধিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত।