Primary Recruitment: ‘গ্রহণযোগ্য নয়’, পর্ষদের আনা চার ব্যাগ নথিই ফেরালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
High Court: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী ঘনিষ্ঠ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সময় বেঁধে দিলেন বিচারপতি।
কলকাতা : নম্বরের বিভাজন ছাড়াই আদালতে পেশ করা হয়েছে মেধাতালিকা। তাই সেই তালিকা গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে ২০১৬ ও ২০২০ সালের মেধাতালিকা পেশ করা হয়েছিল পর্ষদের তরফে। পেশ করা হয়েছিল চার ব্যাগ নথি। কিন্তু সেই নথির গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। এ ছাড়া, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষীর ১০ জন ঘনিষ্ঠের নিয়োগ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
চার ব্যাগ নথি পেশ করা হল আদালতে
প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত ওই মামলায় মেধাতালিকা পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে যে দু বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল, মেধাতালিকা আনতে বলা হয়েছিল পর্ষদকে। সেই মতো ২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিকের মেধাতালিকা পেশ করা হয় এ দিন। মোট চার ব্যাগ নথি পেশ করা হয়। দুটি ব্যাগে ছিল ২০১৬ সালের নথি এবং দুটি ব্যাগে ছিল ২০২০ সালের নথি। বিচারপতি বলেন, ‘নম্বর বিভাজন সহ তালিকা পেশ করা হয়নি। তাই আপাতত এই মামলার ক্ষেত্রে ওই তালিকার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।’
আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত এমন কোনও নথি নষ্ট করা যাবে না। গত ১৭ অগস্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মেধাতালিকা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ বিচারপতির
প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত এই মামলায় আইনজীবী অতিরিক্ত হলফনামা দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ১০ জন পাশ না করে চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি নথি যাচাই করার কথা বলেছিল আদালত।
এ দিন আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, সেই ১০ জনের মধ্যে ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বাকিরা আসেননি। এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ন করতে হবে। এরপর আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। ২০ সেপ্টেম্বর মধ্যে সেই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি বলেন, ‘ওই দিন যেন আমাকে আর শুনতে না হয় যে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি।’
আদালতের নির্দেশ, মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাতুল বিশ্বাসকে পর্ষদের অফিসে বসে ওই ১০ জনের নথি যাচাই করতে হবে। সেই কাজ শেষ করতে হবে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।