Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এসেছিল বেনামি চিঠি, এবার CBI-কে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

Recruitment Scam: জিটিএ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পাহাড়ে যতজনের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তারা কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কার অনুরোধে চাকরি পেয়েছে, তাঁদের যোগ্যতা কী আছে, তার তথ্য জিটিএ-কে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। বিচারপতি বসু এদিন আরও বলেন, 'আমার মনে হয়, পুলিশ কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।'

Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এসেছিল বেনামি চিঠি, এবার CBI-কে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2024 | 6:35 PM

কলকাতা: পাহাড়েও নিয়োগে হয়েছে চরম দুর্নীতি। কিছুদিন আগে এই অভিযোগ নিয়েই একটি চিঠি পৌঁছয় সিআইডি-র হাতে। সেই চিঠিতে একাধিক শাসক দলের নেতার নামও ছিল। এবার সেই বেনামি চিঠির প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভার গেল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। মঙ্গলবার সেই বেআইনি চিঠির মামলায় সিবিআই-এর অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিত বসু। আদালতের নির্দেশ, সিবিআই-এর সিট এই অনুসন্ধান করবে।

আদালত মনে করে, এই চিঠিতে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে, তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই সিবিআই-কে তৎপরতার সঙ্গে অনুসন্ধান করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে বিধাননগর উত্তর থানার আইসি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন তিনি এফআইআর নেননি, সে বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

আগামী ২৫ এপ্রিল এ বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। একইসঙ্গে জিটিএকেও ওই দিন রিপোর্ট দিতে হবে। জিটিএ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পাহাড়ে যতজনের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তারা কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কার অনুরোধে চাকরি পেয়েছে, তাঁদের যোগ্যতা কী আছে, তার তথ্য জিটিএ-কে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। বিচারপতি বসু এদিন আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, পুলিশ কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।’

উল্লেখ্য, গোথা হাইস্কুলের শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন সামনে আসে ওই চিঠি। সিআইডি-র হাতে আসে এক সরকারি আধিকারিকের চিঠি। খামে ভরে সেই চিঠি জমা দেওয়া হয় আদালতে। অভিযোগ ছিল, জিটিএ এলাকায় অর্থাৎ পাহাড়ে ৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। সেই চিঠিতেই শাসক দলের নেতার নামও ছিল।