Sukanta Majumdar: কেন বন্ধ কেন্দ্রের কমন সার্ভিস সেন্টার? সুকান্তর মামলায় হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যকে
Sukanta Majumdar: ২০১৫ সালে এ রাজ্যে কেন্দ্র এই প্রকল্প চালু করে। কিন্তু রাজ্য হঠাৎ করেই সেটি বাতিল করে দেয় বলে অভিযোগ। পরিবর্তে শুরু হয় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র বা বি এস কে।
কলকাতা: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য যে কমন সার্ভিস সেন্টার রাজ্যে চালু করা হয়েছিল তা বন্ধ করে দেওয়া হল কেন? কেনই বা খোলা হল বাংলা সহায়তা কেন্দ্র? রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। কারণ জানিয়ে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিল হাইকোর্টে। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে কী কী পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে সেটা স্পষ্ট নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “বিএসকের সার্ভিস কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সমান নয়”। ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
সুকান্তর আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন হাইকোর্টে জানান, রাজ্যে মোট আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সবকটিতেই কমন সার্ভিস সেন্টার রাখার কথা ছিল। ২৯টি ব্যাঙ্কও এর সঙ্গে যুক্ত উল্লেখ করেছেন তিনি। দেশ জুড়ে ২০০টি ওয়েল ফেয়ার স্কিম সিএসসি-র মাধ্যমে হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে এ রাজ্যে কেন্দ্র এই প্রকল্প চালু করে। কিন্তু রাজ্য হঠাৎ করেই সেটি বাতিল করে দেয় বলে অভিযোগ। পরিবর্তে শুরু হয় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র বা বি এস কে। সুকান্তর দাবি, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থাকুক, সেই সঙ্গে সিএসসি-ও থাকবে। এর ফলে বাংলার অর্থনৈতিক সমীক্ষার বিষয়ে জানা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম প্রশ্ন করেন, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র কেন এল? একই সঙ্গে বিচারপতি জানতে চান, সাংসদ কেন আদালতে এলেন? কেন পার্লামেন্টে বললেন না? গত তিন বছর কেন এলেন না? সুকান্তর মামলাকারী জানান, সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ স্কিম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাই জরুরি ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে।