Kolkata Student Death: ‘স্কুলের সঙ্গে পুলিশের সেটিং আছে’, কসবায় দশম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে বিস্ফোরক আর এক অভিভাবক
Kolkata Student Death: পুলিশ সূত্রে খবর, ৬ তলায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় ওই পড়ুয়াকে। ওখান থেকেই ঝাঁপ দিয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলকাতা: কলকাতার (Kolkata) রথতলায় সিলভার পয়েন্ট স্কুলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় স্কুল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দশম শ্রেণির ও ছাত্রের পরিবার। তাঁর বাবা দাবি করেছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর ছেলের উপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। স্কুল প্রজেক্ট নিয়ে দেওয়া হচ্ছিল চাপ। তারফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল ওই ছাত্র। যদিও তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। তিনি আবার সাফ বলছেন, মানসিকভাবে কোনও চাপই দেওয়া হয়নি।
এদিকে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নানা ধোঁয়াশা। অনেকে বলছেন সময়ে প্রজেক্ট জমা দিতে না পেরে পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্র। সূত্রের খবর, স্কুলের পাঁচতলায় ক্লাস ১১ এর কমার্স, ক্লাস ১২ এর সায়েন্সের ক্লাসরুম রয়েছে। রয়েছে সেমিনার রুম, স্টাফ রুম। সূত্রের খবর, স্টাফ রুমেই শিক্ষকের সঙ্গে প্রোজেক্টের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়েছিল ওই ছাত্র। এরপরই পাঁচতলা থেকে লাফ দেয়। প্রশ্ন উঠছে স্টাফ রুমের নজর এড়িয়ে কি ভাবে লাফ দিতে পারে?
পুলিশ সূত্রে খবর. ৬ তলায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় ওই পড়ুয়াকে। ওখান থেকেই ঝাঁপ দিয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে, পুলিশ এখনও পরিবার বা স্কুলের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। তবে অভিযোগ, ঘটনার প্রায় দু’ঘণ্টা পরে স্কুলের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে। সিসিটিভিতে ওই ছাত্রকে শেষবার দেখা গিয়েছে দুপুর দু’টোর কিছু পরে। কেন স্কুলের তরফে পুলিশকে জানাতে এত দেরি করা হল তা নিয়েও তোলা হচ্ছে প্রশ্ন। পরিবারের দাবি, স্কুল আর হাসপাতালের মধ্যে কোনও সেটিং আছে। স্কুলের পাশেই রয়েছে একটি হাসপাতাল। কিন্তু, সেখানে না নিয়ে গিয়ে তাঁকে অনেক দূরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে দাবি করছেন তাঁরা। এখানেও ঘনাচ্ছে রহস্য। মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের বয়ান দু’রকম। একবার সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে বলা হচ্ছে। আবার কখনও বলা হচ্ছে ৫ তলা থেকে পড়ে মারা গিয়েছে।
ঘটনায় ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের বাবা আবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলছেন, “স্কুলে মানসিক চাপ থাকত ও। ছেলেটি নিচে পড়ে যায়। সেটা আমার ছেলে ও অনেকে দেখতে পায়। কিন্তু, ওদের ম্যাডাম চুপ করে থাকতে বলেন। স্কুলের সঙ্গে পুলিশের সেটিং আছে। টাকা খায় পুলিশ। এখনো ডিলিং চলছে রিসর্টের মধ্যে।”