Rana Roy: ‘২ লক্ষ টাকা মাইনে পাই… কাজে যোগ দিতে হবে’, আদালতে সওয়াল রানা রায়ের
Rana Roy: রানা রায় বলেন, আমাকে অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে হবে। না হলে আমার চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রানা রায়ের বিরুদ্ধে। সেই ব্যক্তিকেই অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত সেই ব্যক্তিকে আদালতে পেশ করা হলে তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। নাহলে চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। দু দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রানা রায়কে। ধৃত এই ব্যক্তির নাম চিঠির সূত্র ধরে সামনে এলেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ভূরি ভূরি। মাঝেমধ্যেই নাকি বেনামে চিঠি দিতেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেই চিঠির সঙ্গে পাঠিয়ে দিতেন গর্ভনিরোধকও। এমন অভিযোগও উঠেছে। সে সব চিঠি সামনে আনার কথা বলেছেন সরকারি আইনজীবী।
যাঁর বিরুদ্ধে এমন অদ্ভুত সব অভিযোগ রয়েছে,সে রানা রায় পেশায় অধ্যাপক। কোচবিহারের এবিএন কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধানও বটে। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে রানা রায় জানান, তাঁর বেতন ২ লক্ষ টাকা। তাঁর চাকরি বাঁচানোটা যে গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। রবিবার রাতে ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রানা রায়কে। আদালতে তিনি জানিয়েছেন, ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করার জন্যই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ১৫ দিন সেখানেই ছিলেন। গত ২ অগস্ট তাঁর কোচবিহারের ফ্ল্য়াটে নোটিস যায়। এরপরের দিন অর্থাৎ রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
৪১ এ ধারায় হাজিরার নোটিস কেন দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রানা রায় বলেন, আমাকে অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে হবে। না হলে আমার চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে। তবে সরকারি আইনজীবীর দাবি, পালিয়ে যেতে যাতে না পারেন, তার জন্যই ওই নোটিস দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী জানান, আগে এভাবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি যে আবাসনে থাকতেন, সেখানকার অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন। আইনজীবী বলেন, এমনকী কিছু চিঠি আছে যেগুলো মুখে বলা যাচ্ছে না, সেগুলো ইন্টারেস্টিং। সেগুলো উদ্ধার করা প্রয়োজন আছে। শুনানি শেষে রানা রায়কে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।