Kalighat Security Breach: কীভাবে বাড়ানো যায় কালীঘাটের নিরাপত্তা? উত্তর খুঁজতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নবান্নে
Nabanna: কারা কারা ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে কীভাবে ওই চত্বরে একজন অপরিচিত ব্যক্তি সেখানে প্রবেশ করল এবং আর কী কী উপায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো যেতে পারে, তা নিয়েই বিশদে আলোচনা করতে সোমবার এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
কলকাতা : রবিবার ভোরে কালীঘাটে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়ির চত্বরে লুকিয়ে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি। তারপর কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ পুলিশ পদস্থ কর্তারা রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। খতিয়ে দেখা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, পুলিশের তরফে রবিবার জানানো হয়েছিল, ওই ব্যক্তি সন্দেহজনক উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে লুকিয়েছিল। কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এমন গাফিলতি, তা নিয়েই এবার নড়েচড়ে বসল নবান্ন। এই নিয়ে সোমবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসা হয়। নবান্ন সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে।
সোমবারের ওই বৈঠকে মুখ্যসচিব ছাড়াও রয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, কলকাতার পুলিশের সিপি ও ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি বিবেক সহায়। কারা কারা ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে কীভাবে ওই চত্বরে একজন অপরিচিত ব্যক্তি সেখানে প্রবেশ করল এবং আর কী কী উপায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো যেতে পারে, তা নিয়েই বিশদে আলোচনা করতে সোমবার এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে নিরাপত্তা বলয় লঙ্ঘনের ঘটনায় রাজনৈতিক মহল থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। সোমবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “কালীঘাটের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে সব পুলিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়। অথচ, রাজ্যে নিরাপত্তা পাওয়া যায় না। আমাদের অনুষ্ঠানে পুলিশ পাওয়া যায় না” বিষয়টি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ বাবু আরও বলেন, “একটা লোক ঢুকে গিয়েছে। তার জন্য এত হইহই পড়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে আরডিএক্স ঢুকিয়ে দিয়েছে। লোক ঢুকেছে। ধরে নিয়ে এসেছে। পাগলও হতে পারে। সেই নিয়ে এমন খবর হয়েছে, যেন কালীঘাটটাকে তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। নিশ্চয়ই কোনও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আছে। তাই জন্যই এত ভয়।”