BJP Bengal: বিজেপিতে ফের ‘বিদ্রোহ’! এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন হিরণ

BJP Bengal: মঙ্গলবার শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা বৈঠক করেছেন।

BJP Bengal: বিজেপিতে ফের 'বিদ্রোহ'! এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন হিরণ
কনভেনর করা হল হিরণকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2022 | 2:27 PM

কলকাতা : গত কয়েকদিন ধরেই সামনে আসছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরের বিদ্রোহ। মঙ্গলবারই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আর এবার গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ। সূত্রের খবর, দিনের পর দিন দলের অন্দরেই একঘরে হয়ে পড়ছিলেন তিনি। একাধিকবার তিনি রাজ্য নেতৃত্বকেও সে কথা জানিয়েছেন। তবে তাতেও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। তারপরই তিনি গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

কেন গ্রুপ ছাড়লেন হিরণ?

গত বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর সদর থেকে লড়ে জয়ী হন অভিনেতা হিরণ। সূত্রের খবর, এরপর থেকেই তাঁর বিধানসভা এলাকাতেই নানারকম চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। ওই এলাকারই সাংসদ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শোনা যায়, তাঁর অনুগামীরাই নাকি কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন হিরণকে। দলেরই অপর গোষ্ঠী থেকে রাজনৈতিক চাপ আসছিল বলেও জানা যায়। এমনকি ‘হিরণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’, এ কথা লিখে পোস্টারও সাঁটানো হয়েছিল এলাকায়।

এই সব নিয়েই অনেক দিন ধরে ক্ষোভ তৈরি হয় বিধায়কের। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে গিয়ে নেতাদের বারবার এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছিলেন বলেও ঘনিষ্ঠ নহল সূত্রে খবর। কিন্তু, তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। এবার বাংলা বিজেপির গ্রুপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এ ব্যাপারে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

কী বলছে বিজেপি?

গত কয়েকদিন ধরেই এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেছিলেন, এটা বিজেপির আভ্যন্তরীণ বিষয়, দলের অন্দরেই সেটা মিটিয়ে ফেলা হবে। এবার হিরণের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার খবর শুনে তিনি বলেন, ‘যিনি গ্রুপ ছেড়েছেন। তিনি বলতে পারবেন। আমার সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।’

মঙ্গলবার দিনভর বিজেপির অন্দরে যা ঘটেছে, তাতের দলের অন্দরের চিড় আরও প্রকট হয়েছে। একদিকে দেখা গিয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা বৈঠক করেছেন।  সব মিলিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে।

আবার বিজেপির মতুয়া শিবিরে ভাঙন রুখতে তৎপর হয় রাজ্য নেতৃত্ব। এক দিকে যখন মঙ্গলবার বিজেপির মতুয়া প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তার আগেই বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের  সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ দিকে, জল্পনা উস্কে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘শান্তনু ঠাকুর বা অন্যান্য বিক্ষুব্ধরা অদূর ভবিষ্যতে বিজেপিতে থাকবে না।’

আরও পড়ুন : TMC worker died: এসএসকেএমে মৃত্যু ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর, তুঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপ