Law College Case: ‘প্রিন্সিপালকে সরাতে মামলা! ছাত্রের এত সাহস কীভাবে হয়?’, প্রশ্ন ডিভিশন বেঞ্চের
Law College Case: মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সিঙ্গল বেঞ্চ যখন বলছে যে সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা তাঁর যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে আবার চাকরি ফেরত পাবেন, তার মানে তিনি যোগ্য হয়ে থাকতে পারেন।
কলকাতা: অধ্যক্ষ হওয়ার মতো যোগ্য়তা থাকা না সত্ত্বেও সেই পদে বসে আছেন সুনন্দা গোয়েঙ্কা, এমন অভিযোগ তুলেই মামলা করেছিলেন যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের এক ছাত্র। সেই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ইতিমধ্যে সরানোও হয়েছে অধ্যক্ষাকে। মামলাকারী একজন ছাত্র হয়ে কীভাবে অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে মামলা করলেন, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘ইউনিয়ন করে একজন ছাত্রের এত সাহস হয় কী করে?’ তবে সিঙ্গল বেঞ্চের অপসারণের নির্দেশে কোনও অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলা হাইকোর্টে উঠলে রাতারাতি পদ থেকে সরানো হয় সুনন্দ গোয়েঙ্কাকে। অধ্যক্ষের ঘরে তালা লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। এরপরই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা।
মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সিঙ্গল বেঞ্চ যখন বলছে যে সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা তাঁর যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে আবার চাকরি ফেরত পাবেন, তার মানে তিনি যোগ্য হয়ে থাকতে পারেন, এই সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা খতিয়ে না দেখে অপসারণ করা হল কেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, “কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ ওঠে তাহলে সেই অভিযোগের উত্তর দেওয়ার অধিকার কি তাঁর নেই?”
মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ডিভিশন বেঞ্চে যে মামলা সুনন্দা করেছেন, সেখানে সবকিছু জানানো হয়েছে, কিন্তু তিনি যোগ্য কি না, তা জানানো হয়নি, যোগ্যতার প্রমাণপত্রও দেওয়া হয়নি। প্রিন্সিপালের আইনজীবী সুবীর সান্যাল দাবি করেছেন, কোনও প্রয়োজন ছিল না।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এদিন মামলাকারী ছাত্রকে প্রশ্ন করেন, “ইউনিয়ন করেন। আপনার কি অধিকার আছে প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দেওয়ার? আপনার জন্মের আগে থেকে উনি অধ্যাপনা করছেন। এক ঔদ্ধত্য আসে কীভাবে?” বিচারপতি ফের বলেন, “আপনার পরীক্ষার কী রেজাল্ট দেখান। কত শতাংশ নম্বর পেয়েছেন?” মামলাকারী দানিশ ফারুকির আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন দানিশ।