কীভাবে হবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া? আদৌও কী ঠেকানো যাবে দুর্নীতি?
Online Admission: ২০১১-১২ সালে অনেক কলেজেই ভর্তি দুর্নীতিতে নাম এসেছিল শাসক দলের ছাত্র সংসদের। তারপর থেকে ভর্তি দুর্নীতি রুখতে সচেষ্ট হয় প্রশাসন।
কলকাতা: বিগত কয়েক বছরে রাজ্য়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে (College-University) পড়ুয়া ভর্তিতে বারাবরই ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধীরা। এবার সেই অভিযোগের ‘জবাব’ দিতেই কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করতে ২ জুন রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Minister of Education Bratya Basu)। বিকাশ ভবনে হওয়ার কথা রয়েছে এই বৈঠক। কিন্তু কীভাবে হতে পারে এই কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া?
ধরা যাক কোনও পড়ুয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত একটি কলেজে ভর্তি হতে চান। এতদিনের নিয়মে তাঁকে আবেদন করতে হত সেই কলেজের ওয়েবসাইটে। কিন্তু নতুন এই নিয়মে আবেদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর বিশ্ববিদ্য়ালয় ভিত্তিক প্রতি বিষয়ে মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে। সেই মেধাতালিকা অনুযায়ী কলেজ পছন্দ করার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। এরপর কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তিতে সেই কলেজে ভর্তি হতে পারবেন ওই পড়ুয়া।
প্রসঙ্গত, ২০১১-১২ সালে অনেক কলেজেই ভর্তি দুর্নীতিতে নাম এসেছিল শাসক দলের ছাত্র সংসদের। তারপর থেকে ভর্তি দুর্নীতি রুখতে সচেষ্ট হয় প্রশাসন। তবে এখনও বিরোধীরা অভিযোগ করে, কলেজে ভর্তির নামে ‘তোলাবাজি’ করে তৃণমূল। তবে, হাতেগোনা কিছু এসএফআই বা স্বাধীন ছাত্র সংগঠন শাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে শাসক শিবিরের ছাত্র সংগঠন। সহজ কথায়, এতদিন ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজের ছাত্র সংগঠনগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসত। সে কারণেই ভর্তিতে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ত। অগত্যা সেই অপবাদ সরিয়ে ফেলতে এবার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এখন কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনেই হবে ভর্তি। কোনও কলেজ পৃথকভাবে ‘অ্যাডমিশন পোর্টাল’ চালাতে পারবে না। বিশ্ববিদ্য়ালয় হিসেবে থাকবে একটি নির্দিষ্ট পোর্টাল। সেখান থেকেই হবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজে ভর্তি। তবে সরকারের এই ‘সাধু’ উদ্যোগ নিয়েও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে একাংশের শিক্ষাবিদ ও বিরোধী ছাত্র সংগঠনের। কেউ আবার বলছেন, উদ্যোগটা ভাল কিন্তু ফাঁক রাখা চলবে না।