Abhishek Banerjee: অভিষেক-কুন্তলকে ৫০ লাখ জরিমানা হাইকোর্টের, জানেন এই টাকা কী কাজে লাগে

Calcutta High Court: কুন্তল ও অভিষেককে বলা হয়েছে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানার অঙ্ক হিসেবে হাইকোর্টের লিগাল এইড সার্ভিসকে দেওয়ার জন্য। আদালতের নির্দেশনামা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু আইনজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, আদালতের সময় নষ্ট করার জন্যই এই জরিমানা হয়ে থাকতে পারে।

Abhishek Banerjee: অভিষেক-কুন্তলকে ৫০ লাখ জরিমানা হাইকোর্টের, জানেন এই টাকা কী কাজে লাগে
হাইকোর্টে অভিষেকের মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2023 | 6:57 PM

কলকাতা: কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মামলায় বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও কুন্তল ঘোষ উভয়কেই ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কুন্তল ও অভিষেককে বলা হয়েছে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানার অঙ্ক হিসেবে হাইকোর্টের লিগাল এইড সার্ভিসকে দেওয়ার জন্য। আদালতের নির্দেশনামা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু আইনজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, আদালতের সময় নষ্ট করার জন্যই এই জরিমানা হয়ে থাকতে পারে। এদিন বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও জরিমানার কারণ হিসেবে সেই কথাই শোনা গিয়েছে। তবে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই উচ্চতর বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক। কিন্তু এই জরিমানার টাকা দিয়ে কী হয় জানেন?

আইনজ্ঞ মহল বলছে, হাইকোর্টের লিগাল এইড সার্ভিস হল এমন একটি জায়গা যেখান থেকে বিভিন্ন দুঃস্থ মানুষজনকে আইনি সাহায্য দেওয়া হয়। আদালতে আইনি লড়াইয়ের জন্য টাকা-পয়সার প্রয়োজন হয়। আইনজীবীর পারিশ্রমিকের দরকার হয়। কিন্তু অনেক দরিদ্র মানুষ থাকেন, যাঁদের আইনি লড়াইয়ের জন্য আর্থিক সংস্থান থাকে না। তাঁদের আইনি সাহায্য করার জন্যই এই লিগাল এইড সেল থাকে। আইনজীবী মহলের ব্যাখ্যা, জরিমানার অঙ্ক থেকে জমা হওয়া টাকা হাইকোর্টের লিগাল এইড সার্ভিস এমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুঃস্থ মানুষদের আইনি লড়াইয়ে সাহায্য করা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে উচ্চতর বেঞ্চের রায় যদি অভিষেকের পক্ষে যায়, তাহলে ওই জরিমানার টাকা জমা করতে হবে না অভিষেককে।

কুন্তল মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট অভিষেক ও কুন্তল উভয়কেই ২৫ লাখ টাকা করে এই লিগাল এইড সার্ভিসে জমা দেওয়ার নিদেশ দিয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রেজিস্টারের কাছেও জরিমানা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের বিভিন্ন কাজে ওই জরিমানার অঙ্ক থেকে প্রাপ্ত টাকা ব্যবহার করা হয়। কখনও আবার সরাসরি মামলাকারীর কাছেই জরিমানার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ওই জরিমানার টাকা যিনি পাচ্ছেন, তিনি নিজস্বভাবে ব্যবহার করতে পারেন।