‘ভ্যাকসিন নিতে কেন লাইনে বৃদ্ধরা?’ টিকা নিয়ে হাইকোর্টের তোপের মুখে রাজ্য
ভ্যাকসিন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেই মামলায় একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
কলকাতা: ভ্যাকসিন নিয়ে এখনও সমস্যা জারি গোটা রাজ্যে। জায়গায় জায়গায় লাইন দেওয়ার ছবি চোখে পড়ছে। দীর্ঘ সময় লাইন দেওয়ার পর ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে, এমন অভিযোগও সামনে আসছে প্রতিনিয়ত। এ বার রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। গ্রামে টিকাকরণ কী ভাবে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়কেই হলফনামা দিতে হবে। কেন বৃদ্ধদের লাইনে দাঁড়াতে হবে, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।
জোভেরিয়া সাব্বার করা একটি মামলা সহ ভ্যাকসিন সংক্রান্ত মোট ৬টি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি। আর সেখানেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। কেন্দ্র বিভিন্ন রাজ্যকে কত ভ্যাকসিন দিয়েছে, তাও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের আইনজীবীকে। এ ছাড়া গ্রামে টিকাকরণ কেমন চলছে, গ্রামের মানুষেরা কতজন ভ্যক্সিন পেলেন? জানতে আগ্রহী বিচারপতি।
রাজ্যের তরফে এ দিন জানানো হয়েছে, ১ কোটি ৫৮ লক্ষের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন এ রাজ্যে। ৪৫ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই দুটি ডোজ পেয়েছেন। মোট ২ কোটি ৩ লক্ষের কিছু বেশি মানুষ সরকারি জায়গা থেকে টিকা পেয়েছেন। বেসরকারি জায়গা থেকে টিকাকরণ হয়েছে ২৭ লক্ষের। রাজ্য জানিয়েছে গ্রামেও চলছে টিকাকরন প্রক্রিয়া। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন রাজ্য সরকারের কাছে জানায়, টিকা নিয়ে কারা অসুস্থ হয়েছেন সেই হিসেব দিতে হবে। প্রশ্ন করা হয়, ‘বৃদ্ধ মানুষদের লাইন কেন দিতে হচ্ছে? ওল্ডেজ হোমগুলিতে কি টিকা সম্পন্ন হয়েছে? ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের কত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে?
মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, উত্তর ২৪ পরগনার জনসংখ্যা ১ কোটির বেশি। সেখানে সরকারি কোনও হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই একটিও। বেসরকারি হাসপাতালের জন্য কড়া মনোভাব দেখান বিচারপতি বিন্দল। তিনি বলেন, ‘সব সময় টাকা রোজগারের জন্য নয়। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। এত বিল কেন?’ আরও পড়ুন: অশ্রুসজল চোখ, সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা ইয়েদুরাপ্পার