Calcutta High Court: ‘পচা আপেল থাকলে খোঁজার দায়িত্ব রাজ্যের’, ভুয়ো শংসাপত্র মামলায় মন্তব্য প্রধান বিচারপতির
Calcutta High Court: মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে মামলাকারী সওয়াল করেন, সারা রাজ্যে অন্তত ১৭ জন এমন রয়েছেন, যাঁদের শংসাপত্র ভুয়ো। সেক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আসানসোলের এসডিও দুজনের নাম বাতিলও করেছেন।
কলকাতা: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরের সচিবকে ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যুতে সব জেলাকে সতর্ক করে নোটিশ জারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশ্যে বলেন, “একটি পচা আপেল থাকলেও তাকে খুঁজে বের করা দায়িত্ব রাজ্যের। একটা ভুয়ো শংসাপত্র অনেক ক্ষতি করে দিতে পারে।”
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে মামলাকারী সওয়াল করেন, সারা রাজ্যে অন্তত ১৭ জন এমন রয়েছেন, যাঁদের শংসাপত্র ভুয়ো। সেক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আসানসোলের এসডিও দুজনের নাম বাতিলও করেছেন।
রাজ্যের আইনজীবী পাল্টা বলেন, ভুয়ো শংসাপত্র না থাকে তার চেষ্টা করা হচ্ছে। তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, “তাহলে সেই সময় পর্যন্ত যাতে অভিযুক্ত এসডিও-রা শংসাপত্র না দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করুন। একটি পচা আপেল থাকলেও তাকে খুঁজে বের করুন।”
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যেভাবে সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে অভিযোগের সত্যতা আছে। রাজ্য এভাবে বসে থাকতে পারে না। প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “একটা ভিজিলেন্স বসানো উচিৎ।”
প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন, অনগ্রসর শ্রেণির সচিব নোটিশ দিয়ে সব জেলাকে জানাবেন কাদের সার্টিফিকেট হয়েছে। সেই বিষয়টি আদালতেও জানাতে হবে। যদি কোনও অফিসার ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু করেন, সেটা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরই দায়িত্ব থাকবে বলে স্পষ্ট করে দেন প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বরাবর এই ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। একাধিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন। এরপর নবান্নের তরফ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের একটি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত স্বীকার করে নেন, “আদিবাসীদের নাম নিয়ে অনেক ভুয়ো সার্টিফিকেট করা হয়েছে। আমরা সেগুলি রিভিউ করে খতিয়ে দেখছি। বহু কার্ড বাতিল হয়েছে।” এই পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।