TET: বাদ যাবে না কেউ, টেটে নিয়োগ পেয়েছেন যাঁরা, সকলের নথি দেখতে চায় সিবিআই
TET: অন্যদিকে, ২০১৪ সালের প্রাইমারি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলেই এদিন জানান প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা: টেট নিয়োগ নিয়ে বাড়ছে চাপ। পর্ষদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে সিবিআই। ২০১৪ সালের টেটে ৪২ হাজার ৯৪৯ জনের শূন্যপদে যতজনের নিয়োগ হয়েছে, প্রত্যেকের তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিল বা ডিপিএসসিকে (DPSC) ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রত্যেকের তথ্য বোর্ডকে দিতে হবে। বোর্ড দেবে সিবিআইকে। দ্রুত এক্সেল ফরম্যাটে প্রত্যেকের নিয়োগ তথ্য ইমেল করতে বলা হয়েছে বোর্ডে। অন্যদিকে মঙ্গলবার টেট মামলা নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলার যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
প্রত্যেকটি নিয়োগ এবার আতস কাচের তলায় আনছে সিবিআই। প্রত্যেকের নথি খতিয়ে দেখবে তারা। সেই মর্মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তথ্য তলব করেছে। টেটের রোল নম্বর, টেট পাসের সার্টিফিকে-সহ টেটের যাবতীয় নথি জমা দিতে হবে। অন্যদিকে এদিন হাইকোর্টে টেট নিয়ে আরও বিপাকে রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটের দুর্নীতি মামলার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে তেমনই পর্যবেক্ষণ।
অন্যদিকে, ২০১৪ সালের প্রাইমারি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলেই এদিন জানান প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলা দায়ের করেন এক বিজেপি নেতা। তৃণমূল নেতারা নিজেদের লেটার হেডে নাম লিখে প্রাথমিকে চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুপারিশ করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সেখানে একটা বিষয় রাজ্য সরকার, বোর্ড বারবার বলার চেষ্টা করে, এর আগেও প্রাইমারি টেট নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে। কয়েকটির সিবিআই অনুসন্ধান বা তদন্তও চলছে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে। নতুন করে তা হলে মামলার কী প্রয়োজন। কেন এই মামলা গ্রহণ করা হবে? এদিন এই মামলার শুনানিপর্বে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে, যেভাবে বিভিন্ন প্রমাণপত্র আসছে, সেসব প্রাথমিকভাবে দেখে আদালত মনে করেছে, এই মামলা গ্রহণ করা দরকার।