Nusrat Jahan: প্রতারণা করেছেন নুসরত? নাকি নিছকই বদনাম? অবশেষে মুখ খুললেন রাকেশ সিং

Nusrat Jahan: প্রশ্ন উঠেছে কে এই রাকেশ সিং? ইডি অফিসে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা অভিযোগ জানানোর ২৪ ঘণ্টা পর অবশেষে মুখ খুললেন সেই রাকেশ সিং।

Nusrat Jahan: প্রতারণা করেছেন নুসরত? নাকি নিছকই বদনাম? অবশেষে মুখ খুললেন রাকেশ সিং
TV9 বাংলার মুখোমুখি রাকেশ সিংImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2023 | 11:00 PM

কলকাতা: বিতর্ক পিছু ছাড়ে না অভিনেত্রী নুসরতকে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের শিরোনামে অভিনেত্রী তথা সাংসদের নাম। কোটি কোটি টাকার প্রতারণায় নাম জড়িয়েছে নুসরত জাহানের। তাঁর সঙ্গে প্রকাশ্যে এসেছে আরও একটি নাম, রাকেশ সিং। জানা গিয়েছে, যে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, সেই সংস্থায় রাকেশ ও নুসরত উভয়েই ডিরেক্টর ছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে কে এই রাকেশ সিং? ইডি অফিসে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা অভিযোগ জানানোর ২৪ ঘণ্টা পর অবশেষে মুখ খুললেন সেই রাকেশ সিং। পেশায় ব্যবসায়ী রাকেশ TV9 বাংলার সঙ্গে কথা বললেন নুসরতের প্রসঙ্গেও।

‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা নিলেও ফ্ল্যাট দেয়নি তারা। রাকেশ সিং এ কথা স্বীকার করেছেন যে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে অভিযোগকারীদের। তবে তার মধ্যে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

তবে নুসরত অভিযোগকারীদের টাকায় ফ্ল্যাট কেনেননি বলেই দাবি রাকেশের। তিনি বলেন, “নুসরত জাহানের যে ফ্ল্যাট প্রতারণার টাকায় কেনা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল। নুসরত জাহান ঋণ নিয়ে ওই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।” তবে নুসরত যে সংস্থার বোর্ড মেম্বার ছিলেন, সে কথা স্বীকার করেছেন সল্টলেকের বাসিন্দা রাকেশ সিং। তিনি জানান, ২০১৪ সালে নুসরতকে বোর্ডের সাম্মানিক সদস্য করা হয়েছিল, কিন্তু ২০১৭-১৮ সালে পদত্যাগ করেন তিনি। রাকেশ সিং-এর কথায়, “যে ধরনের অভিযোগ নুসরতের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং ভুল। মূলত বদনাম করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে।”

আদালতে যে মামলা হয়েছিল, সে কথাও স্বীকার করেছেন রাকেশ। তিনি জানান, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছিল আদালতে। পরে সেই মামলায় জামিন নিতে হয়। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতেও একটি মামলা হয়েছিল, যার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু টাকা ফেরত দেন তাঁরা।

রাকেশের দাবি, অভিযোগকারীদের কাছে জমির দলিল রয়েছে। তাই জমি নিয়ে প্রতারণা করার কোনও প্রশ্ন উঠছে না। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগকারীদের মধ্যে আবার দুটি ভাগ রয়েছে। একাংশ চাইছে, তারা একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দেবেন, সেখানে পুরো প্রাপ্য টাকা ফেরত দিতে হবে। আর এক গোষ্ঠীর দাবি, যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে সেই অ্যাকাউন্টেই টাকা ফেলতে হবে।