Saayoni Ghosh: রাজনীতির বাইরেও সায়নী-কুন্তলের মধ্যে কি অন্য কোনও যোগসূত্র? সেটাই জানতে চাইছে ইডি-সিবিআই
Saayoni Ghosh: যদিও ইডি-র দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী দাবি করেছিলেন, তিনি তদন্তে একশো শতাংশ সাহায্য করেছেন। ইডি আদলতে বেশ কিছু প্রাথমিক নথি, ডিটেইল আনতে বলেছিল। তিনি তা দেখিয়েছেন।
কলকাতা: তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সম্পর্ক কি কেবলই রাজনৈতিক? ইডি-র প্রথম জেরায় ইতিমধ্য়েই সায়নী ঘোষ জানিয়েছেন, রাজনীতিতে এসেই কুন্তলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। সায়নীর বক্তব্য খতিয়ে দেখতে গিয়েই ইডি আধিকারিকদের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি জানতে পেরেছে, সায়নী ঘোষ তৃণমূল যুবর সভাপতি হওয়ার পরই কুন্তল ঘোষ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ইডি-র প্রশ্ন, এর মধ্যে কি কোনও যোগসূত্র রয়েছে? ইডি এবার সেই রহস্য উন্মোচনের তদন্ত করছে। সূত্রের খবর, সায়নী ঘোষকে ইডি দফতরে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে সায়নী দাবি করেছেন এটা কালেক্টিভ ডিসিশন। তাঁর কোনও ভূমিকা নেই।
গত ৩০ জুনই ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাড়ে দশ ঘণ্টার জেরা সামলেছেন সায়নী। কুন্তল ঘোষকে তিনি কীভাবে চিনতেন, সেই উত্তরও জানতে চান তদন্তকারীরা। ফ্ল্যাট কেনার টাকার উৎস নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, সায়নী বেশ কিছু প্রশ্নে নিরুত্তরই থেকেছেন।
যদিও ইডি-র দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী দাবি করেছিলেন, তিনি তদন্তে একশো শতাংশ সাহায্য করেছেন। ইডি আদলতে বেশ কিছু প্রাথমিক নথি, ডিটেইল আনতে বলেছিল। তিনি তা দেখিয়েছেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ইডি তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট। যদিও ইডি সূত্রে জানা যায়, একাধিক প্রশ্নের উত্তরই দেননি সায়নী।
নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম প্রথমে উঠে আসে কুন্তল-প্রসঙ্গেই। ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে তলব করা হয় সায়নী। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ইডি-র তলবের পরই কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছিলেন সায়নী। দলের নেতারাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে সূত্রের খবর। দলীয় কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছিলেন না বলে জানা যায়। সায়নী আদৌ ইডি-র দফতরে হাজিরা দেবেন তিনা, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়। তারপর সকলকে চমকে নির্দিষ্ট সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেন সায়নী। তবে তাঁর জেরা নিয়ে যে আধিকারিকরা অসন্তুষ্ট, তা বোঝা যায়, চার দিনের ব্যবধানেই তাঁকে ফের তলবে। আগামী বুধবার ফের তলব করা হয়েছে সায়নীকে। সূত্রের খবর, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন করা হতে পারে। জানা গিয়েছে, ইডি-র পর সিবিআই-ও সায়নী কুন্তলের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তার খোঁজ করছে।