ISF: খাঁ খাঁ করছে নেতাজি ইন্ডোর, মাত্র ২০ জনকে নিয়ে নওশাদের সভা; কারণটা জানেন?
ISF: রবিবার সেই সভা থেকেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে একের পর এক নিশানা করেন নওশাদ সিদ্দিকী। বলেন, "কারা বাইরে থেকে লোক এনে কী করে সেটা সিসিক্যামেরা দেখলেই দেখা যাবে। আমাদের ভাঙড়েই যা লোক আছে, তাতে ওইরকম বিজয়গঞ্জ বাজারের মাঠ চারটে ভরিয়ে দিতে পারি। আমাদের অনুষ্ঠান আটকানোর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে।"
কলকাতা: আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সর্বোচ্চ ১ হাজার জন নিয়ে সভা করা যাবে। কিন্তু রবিবার ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠাদিবসের অনুষ্ঠানে মেরে-কেটে ২০ জনের উপস্থিতি দেখা গেল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এদিন আইএসএফের সভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন রাজ্য কমিটির সদস্য এবং অফিস পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন। আদালত নির্দেশ দেয় আড়াইটে থেকে সভা করা যাবে। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে ২টো বেজে ৩১ মিনিট থেকে শুরু হয় সভা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা, অথচ মাত্র ২০টা আসন পূর্ণ, নেতাজি ইন্ডোরও এর আগে এমন মুহূর্তের সাক্ষী থাকেনি। যদিও নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “আমার কাছে সব কর্মীর গুরুত্ব রয়েছে। তাই এখানে কোনও কর্মী নয়। সবাই লাইভে দেখছেন সভা।”
ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করতে চেয়েছিল আইএসএফ। তবে পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে যান নওশাদরা। তবে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভার অনুমতি দিলেও, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়। বদলে কোনও ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করতে বলে। একক বেঞ্চের নির্দেশমতোই ১ হাজার জনের উপস্থিতিতে সভার নির্দেশ দেয়।
রবিবার সেই সভা থেকেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে একের পর এক নিশানা করেন নওশাদ সিদ্দিকী। বলেন, “কারা বাইরে থেকে লোক এনে কী করে সেটা সিসিক্যামেরা দেখলেই দেখা যাবে। আমাদের ভাঙড়েই যা লোক আছে, তাতে ওইরকম বিজয়গঞ্জ বাজারের মাঠ চারটে ভরিয়ে দিতে পারি। আমাদের অনুষ্ঠান আটকানোর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। আর চোরদের বাঁচাতে আদালতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য সরকার।”
এদিন নওশাদ জানান, গত ২ মাস ধরে কলকাতায় দলের প্রতিষ্ঠাদিবসের অনুষ্ঠানের জন্য কর্মীরা লড়াই করেছেন। কিন্তু ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করা গেল না। তাতে খারাপ লাগছে ঠিকই। তবে আগামিদিনে এই সভা হবেই বলে দলের নেতা কর্মীদের বার্তা দেন আইএসএফ বিধায়ক।
এদিন আবারও নওশাদ বলেন, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য মুখিয়ে তিনি। মনোনিবেশ করছেন সেদিকেই। একইসঙ্গে এদিন নওশাদের মুখে শোনা যায় সমহারে সমবেতনের কথাও। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার সমর্থনে সুর চড়ান তিনি। নওশাদ বলেন, “সংগ্রামী যৌথমঞ্চের নেতৃত্বের কাছে আবেদন করব অনশন করবেন না। আপনারা গণতন্ত্রের অন্য পথে হেঁটে আন্দোলন করুন। আইএসএফ পাশে আছে।”