Jadavpur University: পড়ুয়াদের বিক্ষোভে র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া যাচ্ছে না, রাতভর অবস্থানে যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-ডিন
Jadavpur University: বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকদের অভিযোগ, পড়ুয়াদের একাংশ বারংবার এসে ইসি-র মিটিং বানচাল করে দিচ্ছে। ফলত, র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের নিয়ে তাঁরা কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না। সেই কারণে প্রতিবাদ স্বরূপ অরবিন্দ ভবনের সামনে রাতভর অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন তাঁরা।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উলট পুরাণ। এতদিন অবস্থান-বিক্ষোভ মানেই পড়ুয়াদের কথা উঠে আসত। আর এবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা। রাতভর অবস্থানে বসলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ, সহ উপাচার্য অমিতাভ ভট্টাচার্য, ডিন সুবিনয় ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। কর্মসমিতির বৈঠক চলাকালীন অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুতে র্যাগিং অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। একদল পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। পড়ুয়াদের এই ভূমিকার বিরোধিতা করে রাতভর অবস্থানে বসলেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকদের অভিযোগ, পড়ুয়াদের একাংশ বারংবার এসে ইসি-র মিটিং বানচাল করে দিচ্ছে। ফলত, র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের নিয়ে তাঁরা কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না। সেই কারণে প্রতিবাদ স্বরূপ অরবিন্দ ভবনের সামনে রাতভর অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। মূলত, সত্যাগ্রহ অবস্থানে সামিল হয়েছেন উপাচার্য থেকে ডিন, রেজিস্ট্রার সকলে। সকলে বার্তা দিতে চাইছেন যে তাঁরা অসহায়। কাজ করতে পারছেন না।
উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “আমরা তো পড়ুয়াদের উপর গায়ের জোর দেখাতে পারব না। সেই কারণে শান্তভাবে অবস্থান করছি। আশা করি পড়ুয়ারা শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন।” রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “কালকে রাত তিনটে থেকে বসে রয়েছি। আজ সকাল হয়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে মূলত হস্টেলের ছাত্ররাই এসেছিল। তাঁদের বক্তব্য আমাদের সব কমিটিতে তাঁদের প্রতিনিধি রাখবে। সব কটাতে পড়ুয়াদের প্রতিনিধি রাখা সম্ভব নয়।”