Jadavpur University Student Death: ‘আমি ভাল নেই মা… খুব ভয় করছে’, মৃত্যুর ঘণ্টাখানেক আগে স্বপ্নদীপের শেষ ফোন
Jadavpur University Student Death: আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ ছাত্রের পরিবার। স্বপ্নদীপের মামা বলছেন, আমাদের সন্দেহ তো হচ্ছেই। ও সুইসাইড কেন করবে?
কলকাতা: পড়ুয়ার মৃত্যুতে তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একদিন ক্লাস করার পরই কী এমন ঘটল? স্বপ্নদীপ কি নিজেই মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন? নাকি প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পিছনে ছিল কারও হাত? পুলিশি তদন্তের পর এই সব প্রশ্নের উত্তর কিছুটা স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সামনে এলে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃত্যুর আগে মা-কে ফোন করেছিলেন স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। কিছু কথাও বলতে চেয়েছিলেন তিনি।
বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছেন মৃত পড়ুয়ার বাবা ও তাঁর আত্মীয়রা।
স্বপ্নদীপের মামা অরূপ কুণ্ডু জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে মা-কে ফোন করেছিলেন ওই ছাত্র। বলেছিলেন, ‘আমি ভাল নেই মা। আমার খুব ভয় করছে। তুমি এসো, তোমার সঙ্গে অনেক কথা আছে।’ রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ এই কথা হয়েছিল। তারপর ফোন করলেও স্বপ্নদীপ আর ফোন ধরেননি বলেই দাবি তাঁর মামার। ঘণ্টাখানেক পর হস্টেল থেকে ফোন যায় বাড়িতে। জানানো হয়, ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছেন স্বপ্নদীপ।
আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ ছাত্রের পরিবার। স্বপ্নদীপের মামা বলছেন, “আমাদের সন্দেহ তো হচ্ছেই। ও সুইসাইড কেন করবে? যে মায়ের সঙ্গে কথা বলল, সে কীভাবে কিছুক্ষণের মধ্যে সুইসাইড করতে পারে? পাগল তো নয়!” অরূপ বাবুর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়ে কোনও অসুবিধা ছিল না স্বপ্নদীপের। বাবাকে ফোন করে নাকি ওই ছাত্র জানিয়েছিলেন যে ক্লাস করে তিনি খুশি। র্যাগিং না হলে এমনটা ঘটত না বলেই মনে করছেন অরূপ বাবু।
তদন্ত চেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখেছেন পড়ুয়ার মামা। ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও ডিএসও-র তরফেও র্যাগিং-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের দাবি, বারবার র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। হস্টেল সুপার থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ছাত্র সংগঠনগুলি।