Jadavpur University Student Death: স্বপ্নদীপের মৃত্যু কার ব্যর্থতায়? সুকান্তর জবাবে বোসকেই কাঠগড়ায় তুললেন ব্রাত্য
Jadavpur University Student Death: সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রশাসনিক মদত ছাড়া দিনের পর দিন র্যাগিং-এর মতো অপরাধ চলতে পারে না।
কলকাতা: যাদবপুরের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এবার প্রকাশ্যে এল রাজনৈতিক চাপান-উতোর। র্যাগিং নাকি খুন, সেই প্রশ্ন ছেড়ে এবার প্রশ্ন উঠছে আসলে এই পরিস্থিতি দায় কার? আর সেই প্রশ্নেই আরও একবার সামনে চলে এলে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। একদিকে, সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মনে করিয়ে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আচার্য তথা রাজ্যপালের প্রভাব অনেক বেশি।
বৃহস্পতিবার ভোরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পর র্যাগিং-এর অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে গোটা ক্যাম্পাস। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রশাসনিক মদত ছাড়া দিনের পর দিন র্যাগিং-এর মতো অপরাধ চলতে পারে না।
‘এক্স’ হ্যান্ডেলে (twitter) সুকান্ত লিখেছেন, ‘প্রশাসনিক মদত ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিএমসিপি, এসএফআই, ডিএসএফ-এর মতো ছাত্র সংগঠনগুলো র্যাগিং-এর মতো ঘৃণ্য অপরাধ চালাতে পারে না। স্বপ্নদীপকে নিজের প্রাণ দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হল।’ মৃত ছাত্রের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
প্রশাসনিক মদত ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে TMCP, SFI, DSF এর মত ছাত্র সংগঠনগুলো কোনোদিন র্যাগিং এর মত ঘৃণ্য অপরাধ চালাতে পারে না, স্বপ্নদীপকে নিজের প্রাণ দিয়ে তার মূল্য দিতে হলো…আমি তার পরিবারকে সকল প্রকার আইনী সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি..এই দুঃখের মুহূর্তে তাদের পাশে আছি pic.twitter.com/EYc10Fdak4
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) August 11, 2023
তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, শুধুমাত্র রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোই বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য। পাল্টা জবাব দিয়ে আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ব্রাত্য লিখেছেন, ‘যে কোনও ঘটনাতেই রাজ্য সরকারের দোষ খুঁজে পাচ্ছে বিজেপি। গাছের পাতা নড়লেও রাজ্যের দোষ। সরকারের ওপর দোষ চাপানোর তাড়ায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি ভুলে গিয়েছেন যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরাসরি আচার্যের অধীনে রয়েছে। এই ঘটনা আসলে রাজ্যপালের ব্যর্থতা।’
— Bratya Basu (@basu_bratya) August 11, 2023
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা না বলে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল বোস। তার মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। এই ইস্যুতে নবান্ন-রাজ্যভবন দ্বন্দ্ব একেবারে পৌঁছে যায়।