Jago Bangla Jagdeep Dhankhar: ‘বঙ্গশত্রু’ বিজেপির হয়ে কাজ করেন’, জাগো বাংলায় রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ
Jago Bangla Jagdeep Dhankhar: সম্পাদকীয়র লেখায় ধনখড়কে বঙ্গশত্রু তকমা দিয়ে লেখা হয়েছে প্রত্যাখ্যাত বিজেপির শূন্যতা ঢাকার চেষ্টা করছেন ধনখড়।
কলকাতা: এবার জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ। জগদীপ ধনখড়কে রাজ্যপাল পদের অযোগ্য বলে আক্রমণ তৃণমূলের মুখপত্রে। সম্পাদকীয়র লেখায় ধনখড়কে বঙ্গশত্রু তকমা দিয়ে লেখা হয়েছে প্রত্যাখ্যাত বিজেপির শূন্যতা ঢাকার চেষ্টা করছেন ধনখড়।
জাগো বাংলাতে জগদীপ ধনখড়কে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, তিনি রাজ্যপাল পদের অযোগ্য। তাঁকে ‘বঙ্গশত্রু’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বিজেপির ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন বলেও জাগো বাংলায় কটাক্ষ করা হয়েছে। জাগো বাংলায় বলা হয়েছে, বিজেপি বাংলায় প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। একুশের নির্বাচন তো বটেই, কলকাতা পুরভোট থেকে শুরু করে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তাদের শূন্যতা ঢাকার দায়িত্ব নিয়েছেন রাজ্যপাল। এমনকি এটাও বলা হয়েছে, সিপিএম জমানা থাকলে রাজ্যপাল আজকে দার্জিলিঙে যেতে পারতেন না। অশান্ত থাকত পরিবেশ। শান্ত পরিবেশের সুযোগ নিয়ে দার্জিলিঙে গিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনটাও বলা হয়েছে জাগো বাংলায়। বঙ্গশত্রু বলে রাজ্যপালকে বিঁধা রয়েছে জাগো বাংলায়।
এদিনের ,সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “রাজ্যপাল পদটি সাংবিধানিক ও সম্মানের। কিন্তু যদি কোনও ব্যক্তি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করতে গিয়ে পদটির অবমাননা করেন, তাহলে তো প্রতিবাদ করতেই হয়।” এরপরই জগদীপ ধনখড়ের নাম উঠে আসে। লেখা হয়, “এই যেমন জগদীপ ধনখড়। তাঁর কাজই হল বিজেপিতে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করা।”
বিজেপি-র বঙ্গভঙ্গ তত্ত্বের বিষয়টিও উঠে আসে এই প্রসঙ্গে। লেখা হয়, “বিজেপির সাংসদ বিধায়করা বলে চলেছেন, বাংলাকে ভাগ করতে হবে। পাহাড়ে আলাদা রাজ্য চাই। ধনখড় নীরব। তখন তাঁর টুইট আসে না। শান্ত পাহাড়ে প্ররোচনা দিচ্ছে বিজেপি। ধনখড় প্ররোচকদাতাদের দিকে…”
রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত ক্রমশই তীব্র হচ্ছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিষয়টা একেবারেই প্রকাশ্যে আসছে বারবার। সাংবিধানিক এক্তিয়ার নিয়ে নাম না করে রাজ্যপালকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় লোকায়ুক্ত নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি প্রত্যেকেরই একটা সাংবিধানিক গণ্ডি রয়েছে। সেটা মেনে চলা উচিত। আমার যা কাজ আমি করব। ওঁর যা কাজ উনি করবেন।”
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, প্রথম দিন থেকেই রাজ্য সরকারের একাধিক কাজ ও বিধানসভার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে তিনি এ কাজ করেছেন। রাজ্যের অফিসারদেরও একাধিকবার রাজ্যপাল রাজভবনে ডেকেছেন। সেক্ষেত্রেও ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভার বিলের ফাইলে সই না করে ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছেন। বর্তমানে এই ইস্যুতে তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কপিল মুনির আশ্রমে পুজোর পর মেলার প্রস্তুতিতে নজর, আজ গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: Mayor Firhad Hakim: পুর সভার অন্দরেই মঞ্চ, আজ পুরসভার মেয়র হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ফিরহাদ হাকিম