Jayprakash Majumdar: ‘অসহায় মজুমদার’, ‘টুইটার মালব্য’, বিজেপি পরাজয়ের দায় নিয়ে বিস্ফোরক জয়প্রকাশ
Jayprakash Majumdar: বিধাননগর, চন্দননগর পুর নিগমে খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। আসানসোল ও শিলিগুড়িতেও পদ্ম শিবিরের ফল খারাপ। এই পরিস্থিতির দায় বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের দিকেই ঠেললেন জয়প্রকাশ মজুমদার।
কলকাতা : কলকাতার পর রাজ্যের আরও চার পুরনিগমেও বিজেপির ফল খারাপ। আর সেই ফল সামনে আসতেই ফের একবার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুললেন জয়প্রকাশ মজুমদার। কিছুদিন আগেই বিজেপি থেকে বহিস্কার করা হয় তাঁকে। তারপর রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি। রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের বর্তমান পরিস্থিতির দায় ঠেলেছেন তাঁদের দিকেই। সোমবার চার পুরনিগমের ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরই ফের একবার মুখ খুললেন তিনি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী ও অমিত মালব্য প্রত্যেককেই এ দিন আক্রমণ করেছেন তিনি।
চার পুরনিগমের ভোটে এ দিন কর্যত ধরাশায়ী গেরুয়া শিবির। বিজেপির সেই ফল নিয়ে এ দিন দলের রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। নেতাদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘হারের দায় নিয়ে কে পদ ছাড়বেন? অসহায় মজুমদার, ভার্চুয়াল চক্রবর্তী নাকি টুইটার মালব্য।’ কর্পোরেট অফিসের মতো করে রাজ্য বিজেপিকে চালানো হচ্ছে বলেও এ দিন মন্তব্য় করেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, টুইটার সর্বস্ব নেতারা থাকলে এর থেকে ভালো ফল করা সম্ভব নয়। বিজেপি থেকে সদ্য বরখাস্ত হওয়া এই নেতা বলেন, ‘গত ৪০ বছর ধরে বাংলার নির্বাচনের সঙ্গে সন্ত্রাস জড়িয়ে গিয়েছে, এটা নতুন কথা নয়।’ এরই মধ্যে থেকে সন্ত্রাস রুখতে কোনও রকম ভাবনা চিন্তা নেই বলেও মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, পুরনো দলকে বাদ দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে নতুন নেতৃত্ব। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৪০ শতাংশ ভোটকে আবার ৪ শতাংশে নিয়ে যেতে চক্রান্ত করা হচ্ছে দলের অন্দরে। আর সেটাই ফের একবার চোখে আঙুল দেখিয়ে দেওয়া হল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
অন্যদিকে এ দিনের ফল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা আগেই বলে দিয়েছিলাম ভোট হয়নি। ভোট লুঠ হয়েছে। আর ফলাফল সেটাই। বিরোধী শূন্য করার জন্য গুণ্ডা পুলিশকে লাগিয়ে মনোনয়ন আটকানো হয়েছে। নির্বাচন পর্যন্ত সব জায়গায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, বিরোধীদের শূন্য করার জন্য। ভোট ঠিক মতো হয়নি, তাই বাতিল করার কথা বলেছিলাম। রেজাল্টে সেটাই প্রমাণ হল। আদালতে গিয়েছি বলেছি। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।’
অন্যদিকে নাম না করে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকেও আক্রমণ করেছেন জয়প্রকাশ। তাঁর মতে, ২০২১-এ সাংঘাতিক ব্যর্থ বিজেপি। ছেলের সিট জেতা ছাড়া আর কিছুই হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Municipal Elections 2022: দুয়ারে সরকার থেকে সরাতে হবে মমতার ছবি! ক্যাম্পে যেতে পারবেন না নেতারাও