AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSC: যুদ্ধজয়ের হাসি ৬৫ জনের মুখে, লড়াই এখনও জারি গান্ধীমূর্তিতে

Job Seekers Protest: যাঁরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে নিত্যদিন আন্দোলনে সামিল, তাঁদের মধ্যেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন। এমনই একজনের সঙ্গে কথা বলল টিভি নাইন বাংলা। তিনি বলছেন, "এই চাকরি দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল। ভাল লাগছে, কিন্তু সঙ্গে বিষাদও রয়েছে। কারণ, আমাদের একটি বড় অংশ এখনও রাস্তায়।"

SSC: যুদ্ধজয়ের হাসি ৬৫ জনের মুখে, লড়াই এখনও জারি গান্ধীমূর্তিতে
এখনও আন্দোলন জারি গান্ধীমূর্তির পাদদেশে
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2023 | 8:25 PM
Share

কলকাতা: দীর্ঘ ছয় বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে চাকরি হল ৬৫ জনের। যাঁরা ব়্যাঙ্ক জাম্প করে অবৈধভাবে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের সংখ্যা স্কুল সার্ভিস কমিশনের হিসেবে ১৮৩ জন। তাঁদের মধ্যে চাকরিতে যোগ দেননি ১০২ জন। সেই পদগুলি শূন্যই পড়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, সেই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ দিতে হবে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের। এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, “১০২ জনকে পাওয়া যায়নি। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেধাতালিকা শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফলে এখন আর কাউকে নিয়োগ করার মতো নেই। আমরা ৬৮ জনকে পেয়েছিলাম। তাঁদের মধ্যে তিনজনের কিছু সমস্যা রয়েছে, তা আদালতে হলফনামায় জানানো হয়েছে। বাকি ৬৫জনকে আজ ডাকা হয়েছে সুপারিশের জন্য।”

বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষার পর শেষে হাতে এল সুপারিশপত্র। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের বাইরে আজ মুখগুলিতে যেন যুদ্ধজয়ের আনন্দ। চোখে-মুখের তৃপ্তির হাসিই যেন বুঝিয়ে দিচ্ছে, এই প্রাপ্তি, এই হকের চাকরি, তাঁদের নতুন বছরের সেরা উপহারের মতো। এদিন সেই ভিড়ের মধ্যে ছিলেন রিমা মণ্ডলও। তিনি ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষিকা। টিভি নাইনের ক্যামেরার সামনে বললেন, “পরিবারের লোকেরা খুব খুশি হয়েছে এই চাকরির খবরে। এতদিন পরে হলেও শেষ পর্যন্ত চাকরি পাচ্ছি। হয়ত এটাই ভাগ্যের পরিহাস।”

যুদ্ধজয়ের আনন্দ থাকলেও, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির ভুঁড়ি ভুঁড়ি অভিযোগ উঠেছে, তা এদিন আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। সাদ্দাম হোসেন নামে অপর এক হবু শিক্ষক জানাচ্ছেন, “দুর্নীতি থাকলে অপেক্ষা তো করতেই হবে। কোনও বাড়তি উত্তেজনা নেই। এই চাকরি সরকার দিচ্ছে না, আইন দিচ্ছে। আইনের উপর আস্থা রাখা দরকার।”

যাঁরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে নিত্যদিন আন্দোলনে সামিল, তাঁদের মধ্যেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন। এমনই একজনের সঙ্গে কথা বলল টিভি নাইন বাংলা। তিনি বলছেন, “এই চাকরি দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল। ভাল লাগছে, কিন্তু সঙ্গে বিষাদও রয়েছে। কারণ, আমাদের একটি বড় অংশ এখনও রাস্তায়। আমি চাই সকলে নিয়োগ পাক। আমার হাসি এখানে ১ শতাংশ। বাকি ৯৯ হাসি এখনও রাস্তায় পড়ে রয়েছে। তাই সম্পূর্ণ হাসি এখনও হাসতে পারছে না। আশা রাখি, এসএসসি সবার নিয়োগের ব্যবস্থা করবে।”

তবে আঁধার এখনও পুরোপুরি কাটছে না গান্ধীমূর্তি থেকে। যাঁরা আজ সুপারিশপত্র পেলেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ রয়েছেন গান্ধীমূর্তির আন্দোলনমঞ্চ থেকেও। কিন্তু এখনও অনেকে আন্দোলনে বসে। তাঁদের ভবিষ্যৎ এখনও বদলায়নি। তাঁরাও আশায় রয়েছেন। আজ যে ৬৫ জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তাতে তাঁদের আশার আলো আরও বেশি করে জ্বলে উঠল বলেই জানাচ্ছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। সরকার সকল ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের একসঙ্গে চাকরি দিক, দাবি আন্দোলনকারীদের। তাঁরা বলছেন, না হলে আত্মঘাতী হওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।