Primary Education: এক লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি সার্টিফিকেট, ফের বিস্ফোরক অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের
Primary Education: প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, কোর্স করলেও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য, তারই মধ্যে সামনে এল আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ। প্রাথমিকে চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডি এল এড কোর্স নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সময় পেরিয়ে গেলেও না তো পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, না কোনও সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে গেলেও বিপাকে পড়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। এই অভিযোগ জানিয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে চলছে সেই মামলার শুনানি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই বিষয়ে জবাব দিতে হবে।
প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এই কোর্সের বড় ভূমিকা রয়েছে। সাধারণত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনে থাকা বেশ কয়েকটি কলেজ থেকে এই কোর্স করতে পারেন চাকরি প্রার্থীরা। অভিযোগ, রাজ্যের এরকম বেশ কয়েকটি কলেজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। ২০১৯ থেকে কোর্স শুরু হয়। দু’বছরের সেই কোর্স শেষ হওয়ার কথা ২০২১ সালে। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাননি শিক্ষার্থীরা, দেওয়া হয়নি শংসাপত্রও।
এর ফলে প্রায় চার হাজার পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়েছে বলে অভিযোগ। কোর্স ফি বাবদ প্রায় এক লক্ষ টাকা করে দিতে হয় তাঁদের। সেই টাকা দিয়েও বঞ্চিত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। নাজমা খাতুন নামে এক চাকরি প্রার্থী এই অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেছেন হাইকোর্টে। মামলাকারীরা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে টেট পাশ ও ডিএলএড উত্তীর্ণদের নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। অথচ এই প্রার্থীরা টেট উত্তীর্ণ হলেও ডিএলএড-এর শংসাপত্র না থাকায় প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হচ্ছেন না।
বুধবার আদলতে এই প্রশ্ন উঠলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়, আপাতত কোনও নিয়োগ করবেন না তাঁরা। কবে শংসাপত্র দেওয়া হবে, সেই প্রশ্নেরও উত্তর চেয়েছেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার আদালতে সেই জবাব দিতে হবে। উল্লেখ্য, বুধবারই প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত আরও দুটি মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। টেট পাশ না করা সত্ত্বেও চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। এ ছাড়া অন্য একটি মামলায় পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।