Calcutta High Court: মিছিলে পুলিশের ‘না’, অনুমতি আদায়ে হাইকোর্টের ‘দুয়ারে’ চাকরিপ্রার্থীরা

Job Seekers Agitation: ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় যে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেখানে মূলত তিনটি দিক থেকে মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। শিয়ালদহ, হাওড়া ও কলেজ স্ট্রিট চত্বর থেকে তিনটি পৃথক মিছিল শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

Calcutta High Court: মিছিলে পুলিশের 'না', অনুমতি আদায়ে হাইকোর্টের ‘দুয়ারে’ চাকরিপ্রার্থীরা
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2023 | 1:23 PM

কলকাতা: আগামী ১৬ জানুয়ারি কলকাতার রাজপথে যৌথভাবে একটি মিছিলের ডাক দিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের (Agitated Job Seekers) ১০টি সংগঠন। কিন্তু সেই মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তাই এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেই মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার সকালে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় যে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেখানে মূলত তিনটি দিক থেকে মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। শিয়ালদহ, হাওড়া ও কলেজ স্ট্রিট চত্বর থেকে তিনটি পৃথক মিছিল শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তিনদিক থেকে মিছিল এসে জমায়েত হবে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে। কিন্তু তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এবার সেই মিছিলের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা।

মামলকারীদের তরফে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, আগামী ১৬ জানুয়ারি চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠন মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। তিনটি দিক থেকে মিছিল এসে জমায়েত হবে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে। অনুমতি চাইলেও পুলিশ তা দেয়নি। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ। প্রসঙ্গত, চাকরিপ্রার্থীদের যে ১০টি সংগঠন মিছিলের পরিকল্পনা নিয়েছে, তাতে রয়েছে ২০১৪ টেট পাশ, মাদ্রাসা কমিশনের উত্তীর্ণ, প্রোগ্রেসিভ নার্সিং ফোরাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চ সহ অন্যান্যরা।

প্রসঙ্গত, নিজেদের নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতে ইতিমধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলা চলছে। ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে, মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের একাধিক মঞ্চ আন্দোলনে বসে রয়েছে। প্রতিদিন সেখান থেকে সরব হচ্ছে নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে। এদিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনের সঙ্গে নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই। নিয়োগ হবে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার যে উদ্যোগী, সেই কথাও একাধিকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। কিন্তু তারপরও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের একটি বড় অংশ। এমন অবস্থায় এবার মিছিলের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।