Tender Scam: টেন্ডার দুর্নীতি মামলার তদন্তে কাঁথি থানার এসআই, কনস্টেবলকে জেরা CBI-এর
Tender Scam: এর আগে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব করেন সিবিআই আধিকারিকরা। অভিযোগকারিনী শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার রামচন্দ্র পাণ্ডার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়।
কলকাতা: টেন্ডার দুর্নীতি মামলার তদন্তে কাঁথি থানার দুই আধিকারিককে তলব করল সিবিআই। এসআই অনির্বাণ রায় ও এক কনস্টেবল হাজিরা দেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। এর আগে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব করেন সিবিআই আধিকারিকরা। অভিযোগকারিনী শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার রামচন্দ্র পাণ্ডার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়।
কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় ঠিকাদার রাম পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেখানে তদন্তের স্বার্থে তাঁর বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরে আদালতে দাবি করেছিলেন, তাঁর বয়ান চাপ দিয়েই রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর থেকে নিরাপত্তা দাবি করেছিলেন। টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় নিঃশর্ত জামিন পান রামচন্দ্র। এরপরই প্রকাশ্যে এসে বিস্ফোরক দাবি করতে থাকেন তিনি। রামচন্দ্রের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছিল। রামচন্দ্রের কথায়, “আমাকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে মারাত্মক চাপ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে আধিকারিকরা এসে টেবিলে রিভলভার রেখে আমাকে জেরা করেছেন। নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক দিয়ে আমার পেটে খোঁচা দিয়েছে। কলকাতার আধিকারিকরা হুমকি দিয়েছেন, শুভেন্দুর নাম না বললে ৩ বছর জেলে ভরে রেখে দেব।” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খেতে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতারির হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকি বয়ান আগে থেকে চাপ দিয়ে রেকর্ড করানো হয়েছিল বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামেন এসডিপিও। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরপরই আইসিকে তলব করা হয়। এরপর এসআই ও এক কনস্টেবলকে তলব করা হয়।এদিন প্রায় ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবার বয়ান মিলিয়ে দেখবে সিবিআই।
এই বক্তব্য এই মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এরপরই কাঁথি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।