Job Seeker Protest: ‘মাতৃমূর্তি বিসর্জন হচ্ছে, আর আমাদের স্বপ্নগুলোই বিসর্জন হয়ে গেল’, ৫৭১ দিন ধরে পথে চাকরি প্রার্থীরা
Kolkata: মা চলে যাচ্ছেন কৈলাসে। পুজো শেষ। তাই বিষাদের সুর চারিদিকে। তবে পুজো দিনগুলি আনন্দে কাটাতে পারলেন না আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা। বারংবার যে নোটিস তাঁরা চাইছিলেন তা কিন্তু সরকার দেয়নি।
কলকাতা: পুজো এল, পুজো চলেও গেল! তবুও পথে বসেই ওঁরা। কথা হচ্ছে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের। মেয়ো রোডে তাঁদের অবস্থান আজ ৫৭১ দিনে পড়ল। চোখেমুখো বিষাদ অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের। আর কতদিন এই বঞ্চনার শিকার হবেন তাঁরা? উঠছে প্রশ্ন।
মা চলে যাচ্ছেন কৈলাসে। পুজো শেষ। তাই বিষাদের সুর চারিদিকে। তবে পুজো দিনগুলি আনন্দে কাটাতে পারলেন না আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা। বারংবার যে নোটিস তাঁরা চাইছিলেন তা কিন্তু সরকার দেয়নি।
বিক্ষোভরত এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘মাতৃমূর্তি বিসর্জন হচ্ছে। আর আমাদের তো স্বপ্নগুলোই বিসর্জন হয়ে গেছে। আমরা গত তিনবছর ধরে রাস্তায় বসে রয়েছি শিক্ষকতার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে। আমরা চাই যে একটা নোটিশ অন্তত দেওয়া হোক যাতে আমারা নিশ্চিন্ত হতে পারি।’ আর এক আন্দোলনরত প্রার্থী বলেন, ‘আমাদের দুটো পুজো রাস্তায় কেটে গিয়েছে। সামনের পুজো আর রাস্তায় কাটাতে চাই না আমরা। আমরা রাস্তায় বসেই চোখের জল ফেলছি বিগত চার বছর ধরে। আমরা চাইছি যে এরপরের আর কোনও উৎসবই যেন আর রাস্তায় বসে কাটাতে না হয়।’
প্রসঙ্গত, পুজোর সময় চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একই আবেদন করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পুজোর দিনগুলোতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন সিমিএম নেতা বিমান বসু।
বারংবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁদের পুজোর সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাতে বললেও চিঁড়ে ভেজেনি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ”সরকারের ওপর আস্থা রেখে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিন। পুজোর সময় বাড়ি ফিরে যান। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।’ যদিও সুপারিশ না পেলে উঠতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।