Jorasanko Thakur Bari: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ কত দূর? পুরসভার হলফনামায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট

Jorasanko Thakur Bari: বর্তমানে জোড়াসাঁকোয় একটা অংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও রয়েছে। কিন্তু এই ভবনেরই একাংশে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করা হয়।

Jorasanko Thakur Bari: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ কত দূর? পুরসভার হলফনামায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 3:13 PM

কলকাতা: জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ঠাকুরবাড়িতে বেআইনি নির্মাণ মামলায় এবার হলফনামা জমা দিল কলকাতা পুরসভা ও রবীন্দ্রভারতী (Rabindra Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা পড়ে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট দেখে অসন্তুষ্ট আদালত। পুরসভা, হেরিটেজ কমিটিকে ফের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, গত বছরই নভেম্বর মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর বাড়ি অর্থাৎ মহর্ষী ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা, হেরিটেজ কমিটি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারিতে ফের এই মামলার শুনানি।

বর্তমানে জোড়াসাঁকোয় একটা অংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও রয়েছে। কিন্তু এই ভবনেরই একাংশে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করা হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা। তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়। এর প্রেক্ষিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট আগেই তৃণমূলের এই অফিস সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা যায়, হোর্ডিং খোলা হলেও দলীয় কর্মীদের আনাগোনা লেগেই থাকত।

এই মামলায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হলফনামা আগেই জমা দেওয়া হয়েছিল। গত নভেম্বরের শুনানিতে হাইকোর্টে ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয় শাসকদলকে। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “হেরিটেজ বিল্ডিং না হলেও কি যে কেউ গিয়ে কোথাও পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে?” কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়, পুরসভার হেরিটেজ দফতর ইতিমধ্যেই বেআইনি নির্মাণ খুঁজে পেয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ হেরিটেজ নির্মাণ ভেঙে ফেলা যায় না। ভেঙে ফেলা অংশের পুনরুদ্ধার প্রয়োজন। বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেও, গত দু’মাসে কলকাতা পুরসভার তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা হলফনামা আকারে জমা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাতে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট।